লালমনিরহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্ষা মৌসুমে শেষ পর্যায়ে ভাদ্র মাস শুরুর দিকে হলেও আবাদি জমিগুলো রোপনকৃর্ত রোপা আমন ধান গাছের চারাগুলো খড়ায় পুড়চ্ছে। সেই সঙ্গে খালে-বিলে পানি না থাকায় চলতি রোপা আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এখন সেচই একমাত্র ভরসা।
সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষকৃত জমিগুলো চৈত্র মাসের খরার মতো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কৃষকরা পানির অভাবে আমন চারা এখনো অনেকেই রোপন করতে পারেনি।
এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছর যে সময় তারা জমিতে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে আসছিল, আর এ বছর তারা চারা রোপন করতে পারেনি।
এমন কতগুলো উঁচু জমি রয়েছে সেগুলোতে সেচ ব্যবস্থাও নেই। এখন যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে অসময়ে আমন ধান রোপন করে তেমন লাভ হবেনা।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, চওড়া এলাকার জমিগুলো পানির অভাবে অনেকে এবারে আমন চাষের আশা বাদ দিয়েছে, কেউ কেউ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করলেও পানির সেচ ব্যবস্থা না থাকায় শাক-সবজি আবাদও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কৃষকরা জমি থেকে পাট কেটে পচাতে (জাগদিতে) পারতেছেনা। বৃষ্টি হবে এই আশায় জমি থেকে পাট সরিয়ে নিচ্ছে কৃষকরা, সেই জমিতে আমন ধান চাষ করার প্রস্তুতি নিলেও না পাচ্ছে আমন চাষ করতে না পারচ্ছে পাট পচাতে? অনেকের এই চরারোদে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক ভাবে পানি বৃদ্ধি না পেলে সেচ ব্যবহার করে যদি আমন ধান আবাদ করতে হয় তাহলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে অনেক কৃষক আমন চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
কৃষকদের দাবি সরকার যদি কৃষিভূর্তকি না দেয় তাহলে অনেক কৃষকরা এই আমন চাষ করে লাভজনক করতে পারবেনা অনেক বর্গা চাষিরা পথে বসে যাবে।