অবিরাম বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে লালমনিরহাটের ধান ক্ষেত ও পুকুর। লালমনিরহাট শহর থেকে শুরু করে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল এখন বৃষ্টির পানি আর পানি।
লালমনিরহাটের বিভিন্ন পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিল, মাছের ঘের, ফসলি জমি পানিতে ডুবে আছে। অনেকের বাসা-বাড়িতেও বৃষ্টির পানিতে রয়েছে।
ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী, মন্ডলের হাটের আহাদ আলীসহ অনেকই জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে লালমনিরহাট জেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। বিশেষ করে মাছের ঘের ও পুকুর একাকার হয়ে গেছে। সেই সাথে ঢুবে যাচ্ছে ফসলি জমির ধান ক্ষেত।
লালমনিরহাট জেলা সদরের অনেক বাসা-বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত। ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায়।
লালমনিরহাটের ফুলগাছ, কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের আউদিয়ার দোলাসহ প্রায় সব জায়গা পানিতে তলিয়ে আছে। আউদিয়ার দোলায় পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানেও এমন জলাবদ্ধতা, এমনটাই বলছেন অনেকেই।
তারা আরও বলেছেন, অপরিকল্পিত ভাবে মাছ চাষ, অভ্যন্তরীণ খাল-বিলে বাঁধ দিয়ে রাখা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। তারা এর নিরসনের জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকে জানা গেছে শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬১মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে শুক্রবার বৃষ্টিপাত ছিলো ০মিলিমিটার।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৯৮মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ২৯.৬৮মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ১৪১সেন্টিমিটার নিচে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.