লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সড়কসহ বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে সন্ধ্যা নামলেই এলইডি লাইট জ্বালানো যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণের চলাফেরা। কারণ এখন অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার বেড়ে গেছে। ফলে অহরহ ঘটছেও দুর্ঘটনা। এই লাইটের আলোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে রাতের লালমনিরহাট।
গ্রাম থেকে শহরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। এই সকল যানবাহনের সামনের হেডলাইট হিসেবে যত্রতত্র যুক্ত করা হয়েছে এলইডি লাইট। রাতের আধার নামলেই ওই লাইটের কারণে বিপরীতমুখি যানবাহন চালক কিছুই দেখতে পারছেন না। ঝুঁকিও বাড়ছে বড় ধরণের দুর্ঘটনা আর প্রাণনাশের।
সমাজ সচেতন মহল জানিয়েছেন রাতে অন্ধকার নামলেই এলইডি লাইটযুক্ত এ সকল অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ির বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চালকের চোখ ধাধিয়ে যায়। এই লাইট দুর্ঘটনার জন্য একটি বড় কারণ। প্রায়ই পথে ঘাটে দেখা যায় এগুলো। দ্রুত ধেয়ে আসা এই লাইটযুক্ত যানবাহনের দিকে চোখ পড়লেই চোখ ধাধানো আলোয় সামনের দিকের আর কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় সর্বত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা ধরনের যানবাহনের সংখ্যা আর সেই সাথে বেড়ে চলছে এলইডি লাইটের ব্যবহার। দিন দিন যেন এই আলোর কারণে জনজীবনে দুর্ভোগের শেষ নেই।
লালমনিরহাটসহ প্রায় বিভিন্ন উপজেলার অলিগলি ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি অটোভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, নসিমন, করিমনসহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার হচ্ছে হরহামেসাই এই লাইটের আলোর কারণে দাড়িয়ে যায় পথচারীরা। কারণ একটু সতর্ক না হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যার পরে ভ্যান-রিক্সা চালানোর জন্য ভ্যানের বডির নিচে অবশ্যই হারিকেন বা সামনে কৌটার ভিতর ল্যাম্প (কুপি) জ্বালিয়ে চলাচলের কঠিন নির্দেশ মানতেন চালকরা। আজ আর সেটা দেখা যায় না।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি বড় ধরনের অন্যতম কারণ বলা চলে। যা এখনই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এলইডি লাইটের প্রভাবে মানুষের চোখে কর্ণিয়া থাকে এবং এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।
এই ধরনের এলইডি লাইট থেকে সবার চোখের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা রোধে অনতিবিলম্বে এলইডি লাইট যুক্ত যানবাহনগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.