লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়, ডোবাগুলোতে অবাধে ডিমওয়ালা মা-মাছ ও পোনা নিধন করা হচ্ছে।
প্রজনন মৌসুমে এ ধরনের মাছ নিধন ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে দেশী অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই, ভেটেশ্বর নদী ও খাল-বিলে পানি ঢোকার পথগুলোতে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
নদী-নালা, খাল-বিলের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের চাটাই পুঁতে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ করে জনজাল, কারেন্ট জাল, সুতিজাল, বাদাইজাল, ভেশাল, কোঁচ ও জুতি (মাছ শিকারের ধারালো অস্ত্র) দিয়ে মাছ শিকার চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্ষা মৌসুম মাছের প্রজননের সময়। নতুন পানিতে নদী-নালা, খাল-বিলে মা-মাছ ডিম ছাড়ে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনায় ভরে ওঠে খাল-বিল ও নদীগুলো। কিন্তু এই সময়ই নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ ধরার ধুম পড়ে। এতে মিঠা পানির দেশী মাছ এখন বিলীন হওয়ার পথে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.