লালমনিরহাটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি লালমনিরহাট-এর জন্য ডিসি পার্কে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বরাদ্দ প্রসঙ্গে আবেদনপত্র দাখিল হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফোরামের আহবায়ক সূফী মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব মোঃ জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি বরাবরের দাখিল হয়েছে।
লিখিত আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, সাংস্কৃতিক শুভেচ্ছা জানবেন। চারিদিকে যখন ভূমি দস্যু, দখলবাজদের দৌরাত্ম্য ক্রমাগত, সে সময় আপনি একজন মুক্তমনা, সংস্কৃতি বান্ধব প্রশাসক হিসাবে (মহেন্দ্রনগর পৌরসভা রোডে অবস্থিত চাঁদনী বাজার সংলগ্ন আবাসনগামী রাস্তা এলাকা) সাপটানা মৌজায় বিআরএস ১,১/১ নং খতিয়ানভুক্ত ৮.৩৩১০ একর নিচু জমিকে বিনোদনমূলক ওয়াটার পার্ক “ডিসি পার্ক" তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লালমনিরহাট পৌরসভার আবেদনের প্রেক্ষিতে ও তত্ত্বাবধানে এবং জেলা পরিষদের সহযোগিতায় দীর্ঘ অবহেলিত সম্ভাবনাময় এ জায়গাটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কারণে লালমনিরহাট শহরের জনস্বাস্থ্য এবং সব বয়সী ও সর্বশ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য যেমন সুস্থ বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে, তেমনি এ পার্কের দু'ধারে নানান ধরণের গাছ দেবে সবুজ নির্মল পরিবেশ। এমন পরিবেশে শহরবাসীর মন প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে হয়ে যাবে বিমুগ্ধ, বিস্মিত ও বিমূঢ় তখন তারা তাদেরকে নিজেদের মধ্যে আপন করে পেতে চাইবে, চাইবে নৈসর্গিকভাকে একটি স্বাভাবিক রুপ দিতে। আর এরই মাধ্যমে জন্ম হবে শিল্পের, জন্ম নেবে শিল্পী ও শিল্পমনা নতুন প্রজন্ম। সৃজনশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিল্প চর্চার বিকল্প নেই। আর জেলা পর্যায়ে শিল্পচর্চার অন্যতম সহায়ক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো “জেলা শিল্পকলা একাডেমি”। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমির অভাবে বারবার বরাদ্দ আসার পরও জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন আজও নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তাই আপনার কাছে লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, নির্মানাধীণ ডিসি পার্কের প্রবেশদ্বারের কাছে প্ল্যান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বরাদ্দ প্রদান করবেন। এতে অত্র অঞ্চলটি যেমন কালচারাল হাবে পরিণত হবে, তেমনি সার্বক্ষণিক লোক সমাগমের কারণে মহেন্দ্রনগর পৌরসভা রোডে শহর বিস্তৃতি লাভ করে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে। পদাধিকার বলে আপনি জেলা শিল্পকলা একাডেমি, লালমনিরহাট-এর সভাপতি এবং জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নিম্নে উল্লেখিত কালচারাল সংগঠনসমুহের পক্ষ থেকে আপনার কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি যে, ডিসি পার্কে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ এবং মহেন্দ্রনগর-পৌরসভা রোডে শহর বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে অত্র অঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রসার ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করতে সময়োপযোগী বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ আবেদনের পক্ষে ২৯টি কালচারাল সংগঠন স্বাক্ষর করেছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলার সংস্কৃতিবান্ধব জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি সভাপতি বরাবর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, লালমনিরহাট-এর জন্য ডিসি পার্কে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বরাদ্দ প্রসঙ্গে আবেদনটিকে আমরা নিম্নে উল্লেখিত ও স্বাক্ষরিত কালচারাল সংগঠনের প্রতিনিধিগণ নীতিগতভাবে সমর্থ করছি। আমরা চাই সৃজনশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে লালমনিরহাট জেলায় সুদ্ধ শিল্প চর্চার পথকে সুগম করতে আপনি আন্তরিক সহযোগিতা করবেন।
স্বাক্ষরিত সংগঠন/ প্রতিনিধি হলেন- রত্নাই থিয়েটারের সভাপতি দেওয়ার রফিকুল ইসলাম, লাল থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল জব্বার মোল্লা, লালমনি থিয়েটারের সভাপতি আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী লালমনিরহাট শাখার সভাপতি অ্যাড. হাফিজুর রহমান হাফিজ, বর্ণমালা থিয়েটারের সম্পাদক মতিয়ার রহমান, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ লালমনিরহাট শাখার সভাপতি তপু বণিক, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সম্পাদক জেমস্ আশিষ দাস, ভাওয়াইয়া পরিষদ লালমনিরহাট শাখার সম্পাদক/ সভাপতি অনিল চন্দ্ৰ বৰ্মন, স্বপ্নসিঁড়ি সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক রাজু সরকার, লালমনিরহাট ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য মুনিম হোসেন প্রতীক, লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সূফী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য শামীম আহমেদ, অন্তরা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচালক কিশোর সরকার বাকা, মন্দিরা এর সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, গ্রাম-বাংলা বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি/ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সঞ্চারী শিল্পী গোষ্ঠীর সম্পাদক শিকিল শ্যাম রায়, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি জমিদার রায়, উত্তরণ সঙ্গীত নিকেতনের সম্পাদক শাহজাহান আলী, আমরা ক'জন নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি আলতাফ হোসেন, নিলাঞ্জনা শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি রাজুপ ভূঁইয়া, কাজালী অপেরা পুতুল নাচের পরিচালক কাজলী বেগম, বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশন লালমনিরহাট শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হক মুকুল, নবরবি সংসদের সভাপতি আবু জাহেদ ভূট্টু, আমরা ক'জন শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক বেলাল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফোরামের সদস্য সচিব জামাল হোসেন, লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহবায়ক সুপেন দত্ত, ম্যাস্-কমিউনিকেশন সেন্টারের পরিচালক মাসুদ রানা রাশেদ, অতিক্রমের আহবায়ক হেলাল হোসেন কবির, আড্ডাবাজের আহবায়ক মুহিন রায় প্রমুখ।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.