লালমনিরহাটের বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদ বার্ধ্যক জনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০বছর।
শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবাস গ্রামের নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
দীর্ঘ দিন ধরে ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
পর দিন শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবাস গ্রামের নিজ বাড়ীতে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে লালমনিরহাটের নওদাবস গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩পুত্র-৪কন্যা, নাতী-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে লালমনিরহাটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁর মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গ প্রেসক্লাব শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
জহির উদ্দিন আহম্মদ লালমনিরহাটে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলীম উদ্দিন মন্ডল ও মাতার নাম জহিরন নেছা। ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করার সময় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি লালমনিরহাটে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হলে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২৩ ফেব্রুযারি হরতালের সমর্থনে স্কুলের ছাত্রদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হওয়ার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করে।
তিনি লালমনিরহাটের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আমৃত্য জড়িত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাঁর সরব উপস্থিতি সবাইকে প্রাণবন্ত করতো।
তাঁর কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ভাষা আন্দোলনে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।