লালমনিরহাটে পথ ভুলে চলে আসা ১১বছরের স্কুল শিক্ষার্থী সজীব সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিভাবকের কাছে ফিরে গেল।
বুধবার (১৭ মে) লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল আলম পথ ভুলে চলে আসা শিক্ষার্থী সজীব (১১)কে তার অভিভাবক নানী ও খালুর হাতে তুলে দেন। শিক্ষার্থী সজীবের খালু ও নানীর পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ তাদের হাতে তুলে দেন। খালু হোসেন আলী লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি বাজার এলাকার একজন হোটেল ব্যবসায়ী। নানী মর্জিনা বেগম স্বামী আমিরুদ্দিন মিঠাপুকুর জাইগীর হাট এলাকায় বাড়ী। লালমনিরহাট সদর থানা থেকে পুলিশ তার বার্তার মাধ্যমে মিঠাপুকুর থানায় যোগাযোগ করে অভিভাবকের সন্ধান বের করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বিডিআর রেলগেটে এলাকায় রিক্সায় বসে থাকা একটি শিশুকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভীড় জমে ঐ পথ দিয়ে যাবার সময় দৈনিক আজকের বসুন্ধরা লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান এর কাছে রিক্সা চালক মজনু মিয়া একটি শিশুকে দেখিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বলে সহযোগীতা চান, শিশুটি ঢাকা আমিন বাজার থেকে এসেছেন খালার বাড়ী যাবেন, কিন্তু তার খালার বাড়ী কোথায় সঠিক বলতে পারছেন না, রিক্সা চালক অনেক জায়গায় শিশুটির কথা মতো গিয়েছেন কিন্তু শিশুটি তার খালার বাড়ী চিনতে পারছে না, রিক্সাওয়ালা এতো রাতে শিশুটিকে নিয়ে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলো না। শিশুটির নিরাপত্তার কথা ও রিক্সাওয়ালা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার কথা ভেবে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মাসুদ রানা রাশেদ ও ফারুক আহমেদ সূর্য্যকে নিয়ে রিক্সাচালক ও শিশুটিসহ থানায় যাবার সিদ্ধান্ত নেন। পরে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল আলম এর কাছে শিশু শিক্ষার্থী সজীবসহ উপস্থিত হয়ে ঘটনা খুলে বললে, গুরত্ব সহকারে আমলে নিয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল আলম শিশুটির পরিবার খুঁজে পেতে কাজ শুরু করেন উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ ও পুলিশ শিশু শিক্ষার্থী সজীবের কাছে তার বাড়ী, বাবার নাম, নানার বাড়ি, খালুর বাড়ির ঠিকানা জানার চেষ্টা করে।
শিশুটি জানায়, তার বাড়ী ঢাকা আমিন বাজার, তার বাবা ট্রাক চালক, সে তার নানীর বাড়ী মিঠাপুকুর এসেছিল, বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় বাস তাকে মর্ডান মোড়ে নামিয়ে দেয়, সে তখন মিঠাপুকুর না গিয়ে লালমনিরহাট খালার বাড়ী আসার জন্য একশত টাকা দিয়ে অটো রিক্সায় চরে এখানে আসেন, দুঃখের বিষয় শিশুটি তার খালুর নাম এবং কোথায় বাসা তা স্পষ্ট করে বলতে না পাড়ার কারণে রিক্সায় চড়ে এলোমেলো ভাবে ঘুরছিলেন।
পুলিশ শিশু শিক্ষার্থী সজীবের এলোমেলো কথার মধ্য থেকে খন্ড খন্ড তথ্য জোড়া দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানা থেকে মিঠাপুকুর থানায় তারবার্তা পাঠায়, অবশেষে মিঠাপুকুর থানার জায়গীর হাট এলাকায় শিশুটির তথ্যের সাথে কিছুটা মিল পাওয়া একটি পরিবারের খোঁজ পায়। সেই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মিঠাপুকুর জায়গীর হাট এলাকার আমিরুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম সজীবের বর্ণনা পেয়ে বুঝতে দেরি হয়নি যে এটি তাদের নাতি সজীব। মর্জিনা বেগম তার মেয়ে জামাই সজীবের খালু আদিতমারী উপজেলার নামুড়ী বাজার এলাকার হোটেল ব্যাবসায়ী আলী হোসেনসহ লালমনিরহাট সদর থানায় আসেন। তাদের দুজনকে দেখেই সজীব চিনতে পারে। পুলিশ যাচাই বাছাই করে অভিভাবকের হাতে শিশু শিক্ষার্থী সজীবকে তুলে দেন।
শিশু শিক্ষার্থী সজীবের অভিভাবক লালমনিরহাট জেলার সাংবাদিক ও লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.