লালমনিরহাটে কোম্পানীর বিরুদ্ধে নয় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোঃ লিঃ-এর কর্মরত মোঃ বদিউজ্জামান চীফ জোনাল ম্যানেজার লালমনিরহাট জোন-এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের মিলনায়তনে ভুক্তভোগী লালমনিরহাটের আদিতমারী ও পাটগ্রাম সাংগঠনিক অফিসের সহকারী জোনাল ইনচার্জ নারায়ণ চন্দ্র বর্মন-এঁর আয়োজনে এ সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোঃ লিঃ-এর লালমনিরহাটের আদিতমারী ও পাটগ্রাম সাংগঠনিক অফিসের সহকারী জোনাল ইনচার্জ নারায়ণ চন্দ্র বর্মন তার চীফ জোনাল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাটের আদিতমারী ও পাটগ্রাম সাংগঠনিক অফিসের সহকারী জোনাল ইনচার্জ নারায়ণ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আমি শ্রী নারায়ন চন্দ্র বর্ম্মন, সহকারী জোনাল ইনচার্জ ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স আদিতমারী ও পাটগ্রাম সাংগঠনিক অফিস। লালমনিরহাট ইসলামী তাকাফুল জোনে কর্মরত আছি। আমি বা আমরা এখনও বিশ্বাস করি যে, সাংবাদিকরাই জাতির কর্ণধার। আপনাদের সুদৃষ্টির মাধ্যমেই অনেক সত্য উন্মোচিত হয়ে থাকে। আমার অভিযোগ ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে নয়। আমার অভিযোগ মোঃ বদিউজ্জামান চীফ জোনাল ম্যানেজার, লালমনিরহাট এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এর আগেও তিনি আমাকে ও আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে মানসিক অত্যাচার করে। তার প্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমি আপনাদের মাধ্যমে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হলাম। নিচে তার দুর্নীতি সমুহ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরছি।
আমি গত ১৯/০৪/২০২৩খ্রি. তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। পোস্টটি আমি হুবহু তুলে ধরছি। জোন প্রধান মোঃ বদিউজ্জামান স্যারের দুর্নীতি ও খারাপ আচরণ ক্ষমতার অপব্যহারে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ট হয়ে আছি। ওনার অধীনে চাকুরি করতে গেলে ওনার কথামতো চলতে হবে, হোক সেটা অন্যায় বা দুর্নীতি। যেমন: পদোন্নতির সময় নগদ অর্থ ঘুষ মিটিং এ হেড অফিস থেকে বিল আসার পরেও চাঁদা আদায় করে মিনিং করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অফিসে ডেক্স ও ডিপ্লোভমেন্ট থেকে চাঁদা গ্রহণ করার অনেক প্রমাণ আছে। কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও খারাপ দৃষ্টির কারণে অনেক মহিলা ও মে কর্মী এখন অফিস আসে না। পুরস্কার বিতরণের সময় ২,৫০০/- টাকার জায়গায় ১,৫০০/- টাকা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে বিএমডিসি কথা বলতে গেলে বলে তোমার কোড বাতিল করে দেয়া হবে। আমার দুইটি সাংগঠিক অফিসের কোনো উন্নয়ন বিল আমি কখনো পাই নি। আমি নিজের টাকায় মিটিং পরিচালনা করি। কর্মীদের কাছ থেকে ফল বাবদ টাকা আদায় করে বড় কর্মকর্তাদের পাঠায়। কোম্পানির দেয়া মাইক্রো গাড়িটি ওনার নিজের কাজে ব্যবহার করে অফিসের কোনো কাজে ব্যবহার করে না। ওনি নিজের টাকায় বাজার না করে কর্মীদের টাকায় বাজার করিয়ে নেয়। এখানে ডিসি থেকে পদোন্নতি নিতে গেলে কারো ৫২ লাখ টাকায় হয় আবার কারো ১.৫ কোটি টাকায়ও হয় না। ওনাকে সব বিষয়ে তেল মারতে না পারলে কিছুই হয় না। আমি নিজেই ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম এছাড়াও আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছে। চাকুরি হারোনো ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারে নাই। তাই ওনি আরও বেপরোয়াভাবে কর্মীদের উপর আর্থিক ও মানসিক অত্যাচার করে। আরও জোর গলায় বলে আমার এমডি স্যার যতদিন আছে আমি এই ন্যাশনাল লাইফকে দিনকে রাত রাতকে দিন করতে পারে। এছাড়া ওনি পিকনিক ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা আদায় করে। এমনকি অফিসে হেড অফিসে আসবাবপত্র ও ফ্যান কেনার জন্য হেড অফিস থেকে টাকা আসার পরেও কর্মীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকে। সেই ফেসবুক পোস্টের কারণে তিনি বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে এবং বলে যে তোর মতো নেংটি হিন্দু আমার কি করতে পারবে সেটা আমি দেখে নিবো। জনৈক এক ব্যক্তি আমাকে এই বিষয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। এবং বলে যে আমার বাড়ি থেকে গরু ছাগল এবং পরিবারের লোকদের তুলে নিয়ে আসবে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনাদের লিখনীর দ্বারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোঃ লিঃ-এর ভুক্তভোগী কর্মীবৃন্দ সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন।