এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লালমনিরহাটে আলুর বাম্পার ফলন হলেও কোল্ডষ্টোরেজ করা নিয়ে বিপাকে আলু চাষীরা। ক্ষেত থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এ জেলার আলু চাষী ও কৃষক-কৃষাণীরা। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ১৭হাজারেরও অধিক কৃষক এখন তাদের চাষকরা আলু ঘরে তুলে আনার পর প্রক্রিয়াজাত করে কোল্ডষ্টোরেজ করে রাখার ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
এ জেলার মানুষের চাহিদার বেশী ফলন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার কথা বলেছেন এ জেলার দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের কর্মকর্তারা। যদি আবাদি আলুর বাজার দর ঠিক থাকাসহ বিদেশে আলু রপ্তানি করা যায় তাহলে এখানকার কৃষকগণ তামাক চাষ না করে আর্থিকভাবে আলু চাষে লাভবান হয়ে ওঠবেন।
লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার প্রায় সবগুলো গ্রামের কৃষক-কৃষাণী আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আলু চাষীরা বলেন, বাজারে আগাম আলুর দাম ভালো পাওয়ার আশায় কেউ কেউ কোল্ডষ্টোরেজ করা প্রস্তুতি নিলেও গেলো বারের চেয়ে বস্তা প্রতি প্রায় ৪০টাকা বেশী ভাড়া হওয়ায় অনেকটাই হতাশা ব্যক্ত করছেন। অপরদিকে বর্তমানে আলুর মৌসুম থাকা সত্বেও বাজারে খুচরা বিক্রেতারা কিনছেন ১৫-২০টাকা প্রতি কেজি আলু।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, এই আলু চাষে যেমন লাভবান হচ্ছেন চাষীরা, তেমনি এই অভাবের সময় আলু উত্তোলনের কাজ করে জীবন যাপন করছেন আলু ক্ষেতে কাজ করা দিনমজুরগণ।
এবছর লালমনিরহাট জেলায় ৬হাজার ২শত হেক্টর জমিতে আলু চাষ অর্জিত হয়েছে। তবে বর্তমান বাজার মূল্য ভালো আছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.