শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে
প্রধান শিক্ষক শাহজাহান এর দূর্ণীতি প্রমানিত; লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন

প্রধান শিক্ষক শাহজাহান এর দূর্ণীতি প্রমানিত; লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন

লালমনিরহাটের ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিক্রয়ের টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসারের নজরে আসে খবরটি।

 

লালমনিরহাট জেলা সদরের ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়। যা ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। এ সময় ফুলগাছ এলাকার বাসিন্দা মোঃ জালাল উদ্দিন ১শত ১০শতক ও মোঃ জহির উদ্দিন ৪০শতক জমি প্রতিষ্ঠানের নামে কবলা করে দেন। এতে মোট ১শত ৫০শতক জমি ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৭ সালে ফুলগাছ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে খারিজ করেন। এ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন দানকৃত ১শত ৫০শতক জমির মধ্যে ৪০শতক জমি, জমিদাতা মোঃ জহির উদ্দিনের পুত্র ও বিদ্যালয়ের করণীক মোঃ জয়নাল আবেদীন ভোগ দখল করে আসছেন প্রধান শিক্ষকের ছত্র-ছায়ায়।

 

তথ্য পাওয়া যায়, এ জমিতে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি দোকান থেকে প্রাপ্ত ভাড়া ও ফসল থেকে আসা অর্থ সবই ভোগ করেন প্রধান শিক্ষক ও করণীক। যার ১টি টাকাও প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা হয় না বলে প্রমান পান লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী।

 

অপরদিকে ১শত ১০শতক জমি, জমিদাতা মোঃ জালাল উদ্দিনের মাধ্যমে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করেন ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলী ও জমিদাতা জালাল উদ্দিন।

 

এতে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করেন এবং তাদের জমি বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্যের প্রমান পান, ফলে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলী ও করণীক মোঃ জয়নাল আবেদীন উভয়কে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন। সেই সাথে জমি উদ্ধারের জন্য মৌখিক ভাবে একমাস সময় দেন। এই সুযাগে প্রধান শিক্ষক অতি গোপনে সম্পুর্ন জমি অবৈধ ভাবে লিজের নামে পুরো জমিই, জমি ক্রেতাদেরকে দখল দেন।

 

পরবর্তীতে ১লা ফেব্রুয়ারি/২৩ তারিখে পুনরায় বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন বিদ্যালয় ছুটি দিয়েছেন দুপুর ১২টার মধ্যেই। অধিকাংশ শিক্ষক বাড়িতে চলে গেছেন। দুই-তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তবে তারাও বাড়িতে যেতে প্রস্তুত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন সহকারি শিক্ষক ফোন করে ডেকে আনেন প্রধান শিক্ষককে। শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষককের নিকট বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি লিজ দিয়েছেন বলে জানান। লিজের কাগজ দেখতে চাইলে তিনি যে কাগজ দেখান যাতে উল্লেখ রয়েছে ১.৫০ একর জমি বার্ষিক লিজ দেয়া হয়েছে মাত্র ১২হাজার টাকায়। অথচ এর বাজার মূল্য কমপক্ষে ৫৫,০০০/- টাকর উপরে। এতে প্রমানিত হয় যে, পুরো জমিই, জমি ক্রেতাদেরকে দখল দেন প্রধান শিক্ষক। যে কারনে জমি উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি তিনি।

 

গত ৮ই ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রনীত এক প্রতিবেদন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করা হয়। এতে উল্লেখ রয়েছে যে, সকল বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের দূর্ণীতি এবং জমি উদ্ধারে তার কোন তৎপরতা নেই বলে প্রতিয়মান হয়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তের প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন যেন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং বিদ্যালয়ের সমূদয় জমি উদ্ধার হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone