পল্লীকবি জসীম উদ্দিন-এঁর “মামার বাড়ি” কবিতার পংক্তিগুলো লালমনিরহাটের আম বাগানগুলোতে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার প্রতিটি বাড়ীতে কমপক্ষে ৫/১০টি আম গাছ রয়েছে। আসা করা যাচ্ছে গাছগুলোতে এবারে প্রচুর ফলন হবে এতে করে সবাই আম খেতে পারবে। আর মাত্র দু’এক মাসের মধ্যে বাগানগুলোতে থরে থরে আম দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই আমগাছগুলোতে এমন ভাবে মুকুলে-মুকুলে ছেয়ে যে, গাছের পাতাগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমের মুকুলের মৌ-মৌ ঘ্রাণে ঘ্রাণে আম বাগানগুলোর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে পাগল করা সু-ঘ্রাণ। যে ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা।
মালিকরা জানান, প্রায় ২/৩ সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে।
মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি রায় জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষুধ স্প্রে করছেন তারা।
মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।