শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে শিবেরকুটির ভাগ্য বদলাবে ২টি সেতু লালমনিরহাটের শিবেরকুটি গ্রামের জহরা বেওয়া-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু দেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত করেছে, এখন দেশ গড়ার পালা-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লালমনিরহাটের প্রবীণ সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ/২০২৪-২৫ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
মহান মুক্তিযুদ্ধে লালমনিরহাট

মহান মুক্তিযুদ্ধে লালমনিরহাট

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় এ এলাকার মানুষও মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গঠন করা হয় সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ। গড়ে তুলে দুর্বার প্রতিরোধ।

৪ এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী লালমনিরহাটে প্রবেশ করলে তাদের দখলে চলে যায় এ জনপদটি। শুরু হয় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট আর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা সবচেয়ে বড় গণহত্যাকান্ড চালায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার লালমনিরহাট রেলওয়ে ওভার ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের রিক্সা ষ্ট্যান্ডে। সেখানে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানী বাহিনী রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেক বাঙ্গালীকে ধরে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের একত্র করে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাদের লাশ খোর্দ্দসাপটানায় রেলওয়ে ডি.আর.এম অফিসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিরাট গর্তে এবং সুইপার কলোনী সংলগ্ন পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়। এর মধ্যে একজনই জীবিত ছিল। পাকিস্তানী সেনারা চলে যাওয়ার পর জীবত রেলওয়ে কর্মচারী আবুল মনসুর গর্ত থেকে উঠে আসেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আইরখামার গ্রামে ব্যাপক নর হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানী সেনারা। আইরখামার ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে ধরে এনে অনেক বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর প্রবল আক্রমণ এবং মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানী বাহিনী লালমনিরহাট ছাড়তে বাধ্য হয়। ফলে ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত হয়।

উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার ৫১বছরেও লালমনিরহাটের বধভূমিগুলি আজও চিহ্নিতকরণ করা হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে। এগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone