শারীরিক পরিবর্তনের কারনে কিছুদিন থেকে বিভিন্ন মাজার ও মসজিদ পরিদর্শন করে খাদিজা খাতুনের পরিবার। হঠাৎ মেয়ে থেকে তার লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে ছেলে হলে খাদিজা তার পরিবারকে জানায়। তারাও লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাই খাদিজাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই ছুটে আসতে শুরু করে।
ঘটনাটি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারি এলাকায় এমনই এক ঘটনা ঘটে। খাদিজা বেগম ওই এলাকার কৃষক কামরুজ্জামানের ছোট মেয়ে। খাদিজা বেগমের বয়স ১৬বছরের কিশোরী এবং সে স্থানীয় শটিবাড়ি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় তাকে দেখতে দূর দুরান্ত থেকে এসে ভীড় করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধায় খাদিজা বেগমের বাড়িতে গেলে এমনই দৃশ্য দেকা যায়।
আগে তার নাম খাদিজা খাতুন থাকলেও নতুন নাম রাখা হয়েছে ইউসুফ আলী। তিনি স্থানীয় শটিবাড়ি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শিক্ষার্থী। খাদিজা ওই এলাকার কামরুজ্জামানের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক কামরুজ্জামানের আট ছেলে মেয়ে। চার ছেলে-মেয়ে ছোট বেলায় মারা যায়। বড় মেয়ের বিয়ে দিলেও ছোট মেয়ে স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশুনা করতো। গত কয়েক মাস থেকে খাদিজার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হলেও সেটি গোপন রেখে ১৫/২০ দিন আগে ঢাকায় কর্মরত তার এক চাচার কাছে যায় খাদিজা।
সেখানে বিভিন মাজার ও মসজিদে পরিদর্শন করে। হঠাৎ মেয়ে থেকে তার লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে ছেলে হলে চাচি ও চাচাকে জানায়। তারাও লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে দুর্গাপুরে আসে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই ছুটে আসতে শুরু করে।
তার চাচা হোসেন আলী বলেন, বেশ কয়েকমাস থেকে তার শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়। পরে ঢাকায় গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন হয়। আজ ঢাকা থেকে এসেছে। অনেক লোকজন তাকে দেখত্র ভীড় করছে। অনেকটা বিরম্বনায় পড়েছি আমরা।
প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, হঠাৎ শুনলাম যে সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। আমরাও দেখলাম তাই। এখন অনেকেই এখানে আসছে তাকে দেখতে।
তার চাচী ছাদেকুন্নাহার বলেন, আমরা সবাই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। এটাও বিশ্বাস করেছি। এখন মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে তাকে বাড়িতে রাখাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তার দাদী নুরজাহান বেগম বলেন, ঢাকায় তার চাচী চেক করে দেখছে মেয়ে থেকে ছেলে হইছে। আজ বাড়িতে আসার পর থেকে মানুষের ভীড়ে খুব জ্বালায় পড়ে গেছি। বাড়িতে থাকতে পারছিনা।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে তাকে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।