লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে মোঃ শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশীকে বিএসএফের বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে সীমান্ত এলাকা থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এর আগে ওই দিন ভোরবেলা উপজেলার গেন্দুকরি সীমান্ত থেকে বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে বন্দুকের বাট ও লাঠি দিয়ে পিটুনি দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
নিহত শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম গোতামারী এলাকার আছিম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতির ডাকে শনিবার ভোরবেলা শরিফুল বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ৯০১ নম্বর পিলারের কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে চোর সন্দেহে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। পরে ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এতে শরিফুল অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা তাকে বাংলাদেশের গোতামারী ইউনিয়নের ভুটিয়ামঙ্গল নামক সীমান্ত এলাকায় তাকে ফেলে দিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রবিবার সকালে শরিফুলের পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, সীমান্ত এলাকা থেকে আহত অবস্থায় শরিফুলকে উদ্ধার করা হলেও বিএসএফ’র প্রহারে তার মৃত্যু হয়েছে কি না তিনি নিশ্চিত নন। তবে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হলেই মৃত্যুর কারন জানা যাবে।