এক পরীক্ষার্থী লিখিত ভাবে নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন লালমনিরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের “পরিবার কল্যাণ সহকারী” পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তবে এ পরীক্ষায় পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় তাঁর রোল নম্বর আছে। লালমনিরহাটের ওই পরীক্ষার্থীর নাম মুনাফা খাতুন। পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে তাঁর রোল নম্বর ১২০৫১১৫৫।
এ ঘটনায় বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল বাছাই/নিয়োগ কমিটির সভাপতি মোঃ আবু জাফর-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোছাঃ জান্নাতুন ফেরদৌসী নামের অপর এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি মুনাফা খাতুনের ননদও বটে।
পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া মুনাফা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি এক সপ্তাহ আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছি। এ কারণে লালমনিরহাটে গিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে আমার রোল নম্বরও রয়েছে।
মুনাফা খাতুন সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমার ননদ জান্নাতুন ফেরদৌসীর রোল নম্বর ১২০৫১১৫৬। আমার রোল নম্বর ১২০৫১১৫৫। দুটি রোল নম্বর পাশাপাশি হওয়ায় ফল মুদ্রণে ভুল হতে পারে। সঠিকভাবে তদন্ত করে ভুলটি সংশোধন করে আমার ননদকে কৃতকার্য দেখানো হোক। সে খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, এ–সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের কলা ভবনের তৃতীয় তলায় ৩১৮ নম্বর কক্ষে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন অভিযোগকারী জান্নাতুন ফেরদৌসী। একই পদে পরীক্ষার্থী ছিলেন মুনাফা খাতুন। গত ২১ অক্টোবর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এ কারণে মুনাফা খাতুন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। ৩০ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হয়। তাঁর রোল নম্বরও কৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় আছে।