ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈত্য প্রবাহের কারণে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম) পৌরসভার ৪শত ৭৬টি গ্রাম ও ৩শত ৫৪টি মৌজার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কার্তিক মাস থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার কারণে রাতে বেলায় সড়কে লাইট জ্বালিয়ে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাতে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতে তিস্তা, ধরলা, মালদহ, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকার চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বেশি ঠান্ডা পড়ায় এখানকার মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পাচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমুল মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বিত্তবান লোকদের দিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারী, পুরুষ, শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে হরেক রকমের শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে বসেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, জজ কোর্ট, বিডিআর গেট এলাকায় বসেছে শতাধিকেরর বেশি অস্থায়ী দোকান। তবে এ সকল শীতবস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় অভাবী লোকজন কিনতে পারছে না।