ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে লন্ডভন্ড লালমনিরহাটের ফসলের ক্ষেত। লালমনিরহাটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে এ ঝড়-বৃষ্টি। লালমনিরহাটের আকাশ ছিল রঙিন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়ে প্রান্তিক কৃষকদের রোপা-আমন ধান, শাক-সবজি ও বৃক্ষরাজীসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব ফসলের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাটের রোপা-আমন ধান, শাক-সবজি ও বৃক্ষরাজীসহ ক্ষয়ক্ষতির লন্ডভন্ডের এসব দৃশ্য। কৃষকেরা বর্তমানে চরম হতাশায় পড়েছেন। কৃষকদের এমন ক্ষয়ক্ষতি হলেও মাঠ পর্যায় নেই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কৃষি নির্ভরশীল জেলা লালমনিরহাটে চলতি রোপা-আমন ধান, শাক-সবজি ও বৃক্ষরাজীসহ হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে সোমবার (২৪ অক্টোবর) উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সৃষ্টি হয়। আর এরই প্রভাব পড়ে লালমনিরহাট জেলাও। আর দিন-রাত প্রায়ই ২৪ঘন্টা ধরে থেমে থেমে ঝড় ও বৃষ্টি এবং প্রচন্ড বাতাস হয়। বৈরী এ আবহাওয়ায় নুয়ে পড়ে কৃষকের আধাপাকা রোপা-আমন ধান। শুধু ধানই নয়, বৃক্ষরাজীসহ শাক-সবিজরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে লালমনিরহাটের ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলা ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার প্রায় ২হাজার হেক্টর ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কৃষক মোঃ হযরত আলী, মোঃ সাহেব আলী, মোঃ আজম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ আধাপাকা ধান, শাক সবজি ও বৃক্ষরাজি নুয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিতায় পড়েছি। আশানুরূপ ফসল আর পাওয়া যাবেনন মর্মে জানান তারা।