আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলা গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী বিশিষ্ট রাজনীতিক রেয়াজ উদ্দিন আহমেদের জন্ম ১৯২৩ সালের ২৪অক্টোবর। তিনি ‘ভোলা’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম দালাল উদ্দিন আহমেদ এবং মাতার নাম রহিমা বেগম। রেয়াজ উদ্দিন আহমেদের পিতা ছিলেন কুড়িগ্রামের একজন খ্যাতনামা উকিল। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি ১৯৪৫ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেন এবং আইন বিষয়ে ভর্তি হয়েও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তিনি আর লেখাপড়ায় অগ্রসর হতে পারেননি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট আসনে তিনি মনোনয়ন লাভ করেন এবং পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের লেকজনদের সংগঠিত করেন একজন সক্রিয় সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে তিনি কুড়িগ্রাম আসন থেকে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেন। তিনি মোট পাঁচবার এমপি এবং চার বার মন্ত্রীসভায় থাকার পর ডেপুটি স্পীকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ১৯৮২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকাস্থ লালমনিরহাট জেলা বাসতবায়ন কমিটি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এইচ. এম. এরশাদের সাথে সাক্ষাৎ করে লালমনিরহাটকে জেলায় উন্নীতকরণের দাবীনামা পেশ করেন। ফলস্বরুপ ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা (মন্ত্রী) ডঃ শাফিয়া খাতুন কর্তৃক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট মহকুমা জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।