লালমনিরহাট জেলা সদরের ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আবারও প্রায় সাড়ে ৬কোটি টাকার টেন্ডারবাজির ঘটনা ঘটেছে। ছয় গ্রুপে কাজ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে টেন্ডারবাজরা। হাসপাতালকে অবরুদ্ধ করে ভেতর-বাইরে ক্যাডার বসিয়ে ফাঁকা টেন্ডার নিয়েছে প্রভাবশালী টেন্ডারবাজরা। ক্যাডারদের বাধার কারণে শিডিউল ফেলতে পারেনি অনেক ঠিকাদার। জড়িত রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রমজান আলী কৌশলে ই-টেন্ডার না করে পুরনো পদ্ধতিতে টেন্ডার আহবান করায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ২৫০শয্যায় উন্নীত হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য যন্ত্রপাতি মেডিকেল, লিলেন সামগ্রী, গজ ব্যান্ডেজ তুলা, কেমিক্যাল রেজেন্ট, আসবারপত্র ও ক্রোকারিজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ছয়টি গ্রুপে প্রায় সাড়ে ৬কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ৮ই সেপ্টেম্বর আহবান করে এ টেন্ডার।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬টি গ্রুপে শিডিউল বিক্রি হয়েছে ১শত ৬১টি শিডিউল ক্রয় করলেও ড্রপ করতে পারেনি সাধারণ অনেক ঠিকাদার। ১২ই অক্টোবর ছিল শিডিউল ড্রপের তারিখ। সাধারণ রোগী গেলেও ক্যাডারা তল্লাশি করেছে ওই দিন।
জানা যায়, ১শত ৬১টি শিডিউল বিক্রি হলেও বাক্সে পড়েছে মাত্র ৩৬টি। বঞ্চিত ঠিকাদারদের অভিযোগ সারা দেশে ই-টেন্ডার পদ্ধতি থাকলেও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের চিত্র ভিন্ন। ই-টেন্ডার না দিয়ে সাধারণ ভাবে টেন্ডার দেয়ায় অনিয়ম হয়েছে। ওই টেন্ডার বাতিল করে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে টেন্ডার আহবানের দাবি সাধারণ ঠিকাদারদের।
তবে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রহমান আলী সাংবাদিকদের জানান, ই-টেন্ডার করার কোনো চিঠি পাননি। তাছাড়া ই-টেন্ডারের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। টেন্ডার নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। বাইরে কি হয়েছে তা জানা নেই। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের টেন্ডার নিয়ে দূর্নীতির নানান অনিয়ম নিয়ে দুদকে এ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই অভিযোগে দুদক কাজ করছে বলে দায়িত্বশীল এক কর্মকতা জানান।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.