শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আবারও বিদ্যালয় ও কলজে মাঠে হাট বসানোর পায়তারা; ব্যাহত শিক্ষার পরিবেশ! লালমনিরহাটে সেবা পেতে হয়রানি বা দুর্নীতির শিকার হলে গণশুনানিতে আপনার অভিযোগ তুলে ধরুন! লালমনিরহাটে ১৬ বছর সংসার করেও প্রেমের টানে ঘর ছুট স্ত্রী! লালমনিরহাটে গণশুনানি উপলক্ষে অভিযোগ গ্রহণ বুথের কার্যক্রম চালু লালমনিরহাটে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ১৫জন পুলিশ সদস্য আহত, গ্রেফতার ১ লালমনিরহাটে অ্যাম্বাসেডর ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকদের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতির পাড়ে মেলা অনুষ্ঠিত মোস্তফি থেকে লালমনিরহাট সদর এ প্রবেশের একমাত্র সড়ক পথটির নাজুক অবস্থা পরিচ্ছন্ন পরিবেশ শিক্ষার্থীর শিখন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে
অনিয়মে নিয়ম দাতা মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম

অনিয়মে নিয়ম দাতা মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর আর সেই সব চির চেনা অমর বাণীগুলোর উল্টো দিকে চলছে লালমনিরহাটের একটি মাদ্রাসার সুপার।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম দৈলজোড় দাখিল মাদ্রাসায় বিভিন্ন অনিয়মের ভরে গেছে।
মাদ্রাসার নেই কোন সাইনবোর্ড। হটাৎ দেখে বুঝার উপায় নেই এটি আসলেই কি কোন প্রতিষ্ঠান নাকি গরু ছাগলের চরন ভূমি।
মাদ্রাসাটিতে ভারাটে শিক্ষার্থী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগও। কাগজ কলমে ২শত ৮৬জন শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি গিয়ে দেখা গেছে ৪০জন শিক্ষার্থীও নেই। প্রতিটা ক্লাসে ৭-৮জন করে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা এখানে যারা ক্লাস করি এর চেয়ে অন্যান্য দিন কয়েকজন বেশি  উপস্থিত থাকে। আর খাতায় যাতদের নাম রয়েছে তারা আসেনা ক্লাসে।
ছাত্রীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, আমাদের কোন টয়লেট নেই তাই পাশের মানুষের বাড়িতে  যেতে হয়। নেই কোন কমনরুম, নেই নলকূপ। স্যাররা আমাদের বিষয়ে তেমন ভাবেন না।
অভিভাবকরা দাবি করে বলেন, এই মাদ্রাসায় কোন কমিটি নেই, গোপনে কি ভাবে কি করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছুদিন আগে একজন আয়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও অর্থের বিনিময়ে ৪জনকে নিয়োগ দিয়েছে সুপার। এই মাদ্রাসার শিক্ষক হান্নান কিছুদিন আগে ছাত্রীর গায়ে হাত (কু প্রস্তাব) দেওয়ার জন্য জেলে যেতে হয়েছে। সহকারি শিক্ষক তরনি ও বিমল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় সময় কুরুচিপূর্ণ কথা বলে ও বাবা মা তুলে গালি দেয়।  মাদ্রাসার সুপার নিজেই ঠিক মত আসেন না।
এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ। এখানে তেমন ছাত্র-ছাত্রী নেই, বাহিরে থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে এসে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়ে থাকে।
শিক্ষক হান্নান যখন এক ছাত্রীর গায়ে হাত দিল সুপার কিছুই ব্যবস্থা নেননি। সরকারি সকল বরাদ্দ আত্মস্বার্থ করে আসছেন তিনি। তার বিষয়ে খোঁজ নেন, দুদকের টিম এলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অত্র প্রতিষ্ঠানের যাওয়া হয়। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ছটকে পরতে চান সুপার তাজুল ইসলাম। এমন সময় এলাকারবাসি জড়ো হলে তিনি ছটফট করতে থাকেন।
সুপার তাজুল ইসলামের কাছে সকল বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আপনারা বলছেন মাদ্রাসার বেহাল দশা আর আমি দেখতেছি আমার মাদ্রাসায় ব্যাপক উন্নয়ন, এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি ছাড়া আর কোন টাকা নেওয়া হয় না তাহলে কি করব বলেন, আমাদের রেজাল্ট অনেক ভালো, এখানে ১৪ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারীকে বেতন দেয় সরকার।
প্রাইমারী পর্যায়ে শিক্ষার্থী নেই তাহলে প্রতিষ্ঠান চালান কি করে জানতে চাওয়া হলে সুপার বলেন, সরকার সুযোগ সুবিধা দেয় না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার শ্বশুর মারা গেছে তাই আমি তিন দিন আসি নাই, কোন শিক্ষক কিভাবে কাজ করছে আমি জানিনা বলে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত মাদ্রাসা থেকে চলে যান।
ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা যায় ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এক রুমের ভিতরে দুই দিকে মুখ করে ক্লাস করছে, তাদের মাঝে দুই ক্লাস মিলে ১৪জন শিক্ষার্থী বসে আছে কোন শিক্ষক ক্লাসে নেই। সেই সব বিষয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করেন।
আরও জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে রাতে মাদক আর জুয়ার আসর বসে।
মাদ্রাসাটির সার্বিক বিষয়ে আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার জি. আর. সারোয়ার বলেন, কেউ আমাকে এসব বিষয়ে এর আগে জানায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone