লালমনিরহাট পৌর এলাকার পূর্ব থানাপাড়ার (ভাতরী) থেকে সারমিন আক্তার (২৯) নামের এক নারীর ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ সেপ্টম্বর) সন্ধায় লালমনিরহাটের পৌরসভা এলাকার মাঝা পাড়ায় নিজ বাসায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি লালমনিরহাট সদর হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত সারমিন ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে তারাগঞ্জ থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস আগে সারমিন সাথে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়ির হাট সরকার পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে কাইফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কাইফুল তার স্ত্রী সারমিনকে বাসা নিয়ে না গিয়ে রংপুরে হোস্টেল ও মেসে রাখে। বিষয়টি সারমিনের সন্দেহ হলে একদিন কাইফুলের চাকুরীর জন্য আবেদন করা একটি কাগজে বিবাহিত লেখা দেখে হতবাক হয়ে যায়। এরপর তাকে জিগ্যেস করলে সে বিবাহিত থাকার কথা অস্বীকার করে। এ নিয়ে দুজনের মনমালিন্য সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে সারমিন নিজের বাপের বাড়ী লালমনিরহাট চলে আসে।
আরও জানা যায়, সারমিনের মা দেড় বছর আগে মারা গেছেন। তার ছোট এক ভাই ঢাকায় পড়াশোনা করছে। বাবা সিরাজুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে কর্মস্থলেই থাকছেন। আর যে বাসায় সারমিন থাকতো সেখানে আর কেউ থাকতো না। গত সোমবার কোন এক সময় তিন পৃষ্ঠার চিরকুট লিখে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্বহত্যা করে থাকতে পারে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম জানান, মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলাও হয়েছে। তবে তার লাশের সাথে তিন পৃষ্ঠার যে চিরকুট পাওয়া গেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।