লালমনিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী শাহা আলম ও তার সহপাঠী ৫-৭জনকে গাছের ডাল দিয়ে বেধম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তমছের আলী-এর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী শাহা আলম ও তার সহপাঠী ৫-৭জনকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়ে সকাল ১১টা-৩টা পর্যন্ত বেধম মারধর ও নির্যাতন করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষকের বেদম মারধরের কারনে ওই শিক্ষার্থী গুরত্বর আহত হলে পরে আহত অবস্থায় শিক্ষার্থী শাহা আলমকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাহার রেজিঃ নং-২৪০৯৭/১০১, বেড নং-৪৩।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহা আলম চরকুলাঘাট দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর একজন ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক তমছের আলীর এ রকম কার্যকলাপ অনেক দিন ধরে লক্ষ করছেন তারা। এর আগেও তিনি এ রকম ঘটনা কয়েক বার ঘটিয়েছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও সুষ্ঠ সমাধান পাননি তারা। তাই আমরা অভিযুক্ত শিক্ষক তমছের আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই।
ওই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মজিদ বলেন, এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই, কেননা একজন শিক্ষক কতোটা খারাপ হলে এ ধরনের কাজ করতে পারে এটা আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি ওই শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
চর কুলাঘাট দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমান মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে কি কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে সেটা জানতে পারিনি। এখন যেহেতু ঘটনার বিষয়ে অবগত হলাম যাচাই করে সত্যতা পেলে আইনি প্রক্রিয়ায় তাহার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।