জিয়া পরিবারকে ভয় পায় বলেই তাদের নামে মামলা দিয়েছেন সরকার। ২০হাজার কর্মীকেগুম, লক্ষ লক্ষ মামলা থাকার পরেও ৪৬বছরে বিএনপির সফলতা এখনও আকাশচুম্বী। আমার নামেই ১শত ৩৬টি মামলা চলমান। শেখ হাসিনার পর কে নেতা হবে সেটাই আওয়ামী লীগের জানা নেই। ২০২২ সালে এই সরকারের পতন হবে। সাধারণ মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। রাজপথে যুবদল আছে ভবিষ্যৎতে ও থাকবে।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেছেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আয়োজনে এ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আর শেখ হাসিনা সরকার বাড়ায়। দেশের প্রতি মানুষের ভালবাসা নেই বলে, কৌশলে সারের দাম, পরিবহন ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। কুয়ালালামপুর সরকারের মন্ত্রী এমপিরা সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন, সুইচ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লুন্ঠন করেছেন, সেজন্যই তার বলে দেশের মানুষ তো বেহেস্ত আছেন। বর্তমানের আওয়ামী লীগের পুর্নজন্ম দিয়েছে জিয়াউর রহমান।বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান। সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে দিয়েছে শহীদ জিয়া। গার্মেন্টস শিল্পে, পোল্ট্রি শিল্প, ঘের দিয়ে মাছ চাষ, খাল কাটার বিপ্লবী কাজ করেছেন জিয়া। উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণের কাজ শুরু করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছি। মিটিংয়ে আসলে মনে হয় আমাদের জয় ফিরে এসেছে। পূর্বে যুবদল যেমন নেতৃত্বে ছিল এখনও থাকবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধানসহ জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।