রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা মামের পানি খাই, অন্যান্য নামে পানি কিনে খাই, তিস্তা পাড়ের জেলা লালমনিরহাট, তিস্তার এতো নাম ডাক, কেন তিস্তা শিরোনামে একটা পানি হতে পারে না।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ঠাকুরের মাল্লি রোডে বৃক্ষের চারা রোপনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এক সময় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম মঙ্গা এলাকা ছিলো এখন সেটা অনেকটাই নাই। কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠতে পারে। এই জেলার একটা বিষয় আমাকে আক্রশন করেছে, তা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬নং সেক্টর ছিল, সেখানে স্বাধীনতা উপত্যকা এই শিরোনামে দিয়ে একটা জাদুঘর করা যায়, সেই ক্ষেত্রে নতুন একটা মাত্রা বাড়বে।
কমিশনার বলেন, লালমনিরহাট পর্যটন ক্ষেত্রে অন্য রকম স্থান হতে পারে, এখানে তিস্তা নদী আছে, তিস্তা ব্যারেজ আছে, চা বাগান আছে, ধান ক্ষেত আছে সব মিলে দারুণ হত। ঢাকা গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ ঘুরতে যায় সেগুলো হল ঘেরার মধ্যে। স্থানীয় বিনিয়োগ আর উদ্যোগী হওয়া খুব জরুরী।
মহেন্দ্রনগরে অর্থনৈতিক জোনের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দেখছেন, কোভিটের কারনে সকল সিদ্ধান্ত পিছিয়ে গেছে বলে তিনি জানায়।
এ সময় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা মাসুম, লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ রুবেল রানা, লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা বেগম, ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফাতেমা বেগম, বাংলাদেশ স্কাউটস লালমনিরহাট জেলা ও সদর উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ফলজ, বনজ ও ঔষুধী গাছের চারা রোপণ করা হয়।