ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ও ১৫দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতির চলমান রয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তা, ধরলা, রত্নাই ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা।
শুক্রবার (৩ জুন) হতে শুক্রবার (১৭ জুন) মিলে মোট ১৫দিনের ঘন বৃষ্টিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তাসহ সকল নদীতে পানি বেড়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৪সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদৌল্লা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তা পাড়ের মানুষকে সর্তক করার পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।