আলোর মনি রিপোর্ট: অনন্য এক মিষ্টি স্বাদের টসটসে বাংলাদেশের সেরা লালমনিরহাটের লিচু সীমিত আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ এক ধরনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর সেই সঙ্গে দেশি জাতের লিচু এখন গাছে গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে। বর্তমানে মাদ্রাজি জাতের লিচু এখন বাজারে এসেছে। সময়ের আগেই বাজারে আসা লিচুর স্বাদ কিছুটা কম হলেও কিন্তু চাহিদার কমতি নেই। কিন্তু এবারও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লিচু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে লিচু চাষি ও লিচু ব্যবসায়ীরা। লিচু পল্লী খ্যাতি পাওয়া লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, ফুলগাছ, ইটাপোতা, দুড়াকুটি, কর্ণপুর গ্রামে গাছে গাছে লিচু আলতো সিদুর রঙে রঙিন হয়ে ডালে ডালে ঝুলছে। বাজারে মাদ্রাজি লিচুর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বেদানা ও চায়না-থ্রিসহ অন্যান্য জাতের লিচু এখনও নামেনি। দিন দিন লিচুর ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় এ লিচু চাষের জমি বাড়ছে। সেই সাথে বাগান ছাড়াও প্রতিটি বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমিতে কয়েকটি করে লিচু গাছ রয়েছে
প্রত্যেকের।
মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের প্রবীণ লিচু চাষী আব্দুল হামিদ মিঞা জানান, তিনি এক একর জমিতে লিচু চাষ করেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অগ্রীম লিচুর বাগান বিক্রি করেছেন।
একই কথা বললেন ওই গ্রামের লিচু চাষী মোঃ হযরত আলী, মোস্তাফিজার রহমান, রমেশ চন্দ্র, ডাঃ অনিল চন্দ্র। তারাও লিচু বাগান ইতিপূর্বেই বিক্রয় করেছেন লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে।
কোদালখাতা গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন জানান, এবার প্রচুর বৃষ্টির কারণে লিচু ফুলেনি, শাঁস কম, আকারে বেশ ছোট তাই লিচু উৎপাদন কম হয়েছে। সবদিক দিয়ে লিচু ব্যবসায়ীদের এবার লোকসান গুনতে হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার জানান, এ বছর প্রচন্ড বৃষ্টি ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে কিছু গাছে লিচু কম এসেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় লিচু কিছুটা কম ধরেছে। এ কারণে লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়তে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন।