আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক ঘোষিত মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিতর্কিত ছাত্রদল থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী দিয়ে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করা ও নতুন কমিটির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৭টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের টেম্পু স্ট্যান্ডে অবস্থিত সোনার বাংলা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের কক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি সামছুদ্দোহা হৃদয় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ পিয়ার আলী অনুপ্রবেশকারী দিয়ে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করা ও নতুন কমিটির দাবি করেছেন।
এ সময় মোগলহাট ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সক্রিয় সদস্য এবং সাধারণ ছাত্রলীগ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি সামছুদ্দোহা হৃদয় বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক ঘোষিত ০৪/০৪/২০২২ইং মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটিতে রাজাকার আলবদর পাকিস্তানি পিস কমিটির নাতি এবং ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কোষাধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন এর পুত্র লিটন রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করার আবেদন ও অভিযোগ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১নং মোগলহাট ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ পরিবারের সকল সদস্য এই মর্মে অভিযোগ করছি যে, বিষয় বর্ণিত ব্যক্তি ছাত্রলীগ মোগলহাট ইউনিয়ন কমিটির সদ্য ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবার হয়ে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও লাঞ্চিত। তাহার পরিবারের কোন সদস্য আমাদের সাথে কোনদিন আওয়ামী লীগে ছিল না। কারণ বিষয়ে বর্ণিত আছে যে, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন রহমানের দাদা আব্দুস ছাত্তার (ব্যাঙ) মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী রাজাকার এবং পাকিস্তানি পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। যা আমাদের অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের মুখে বহুল প্রচলিত আছে। আরও উল্লেখ করছি যে, উক্ত লিটন রহমানের পিতাঃ মোঃ নিজাম উদ্দীন দীর্ঘদিন যাবত বি,এন,পির মোগলহাট ৩নং ওয়ার্ডের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে ভোল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মিশে নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করছে। আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি তাহারা কখন কোন দিন কোন আওয়ামী লীগের নেতার হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে নাই। তাহলে একজন রাজাকারের নাতি ও বি,এন,পির নেতার সন্তান কিভাবে মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়? এটা ভাবার বিষয়! প্রকাশ থাকে যে, আমরা যে অভিযোগগুলো দায়ের করলাম তা মোগলহাট ইউনিয়নে নিরপেক্ষ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে শুনলে তা সত্যতা পাওয়া যাবে।
আরও বলেন, আপনাদের নিকট জোর আবেদন এই যে, বিষয়ে বর্ণিত ব্যাপারটি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি কর্তৃক ০৪/০৪/২০২২ইং ঘোষিত মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগে কমিটিকে বিলুপ্ত করার সদয় অনুরোধ করছি।