আলোর মনি রিপোর্ট: পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি সমাজ নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ দিনটি বাঙালি জাতির এক মহামিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পহেলা বৈশাখ-১৪২৯ বঙ্গাব্দ শুভ নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সপ্তাহব্যাপী গ্রামীণ মেলা, আলোচনা সভা, বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাঙালির হাজার বছরের লোক-সংস্কৃতির লালিত ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে, নতুনের নবরূপে বৈশাখকে বরণের জন্য লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৮টায় লালমনিরহাটের কালেক্টরেট কলেজিয়েট স্কুল হতে শুরু হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালেক্টরেট মাঠ মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। উক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে সপ্তাহব্যাপী গ্রামীণ মেলার শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী ভূঞাঁ, লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌহিদুর রহমান, লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায়, লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সুবিধামত সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান জেলা কারাগান, হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার, এতিমখানায় উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন করা হবে।
১ হতে ৭ বৈশাখ সকাল ১০টা ৩০মিনিট হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বৈশাখী মেলা, সকাল ১০টা ৩০মিনিট হতে দুপুর ১২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
৩ বৈশাখ সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে।
৭ বৈশাখ সুবিধামত সময়ে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।