আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের শতকরা ৮০ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যাপক হারে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে খেটে খাওয়া গরীব মেহনতি কৃষকদের, যেন দেখার কেউ নেই।
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বস্তিখাটামারী এলাকার জমির উদ্দিন মোল্লার বাড়ি সংলগ্ন পানি প্রবাহের কারণে ফসলি জমি নষ্ট এবং পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, একই ইউনিয়নের টিকটিকিরহাট হইতে মামা ভাগিনা বাজারের পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে সাকোয়া, বড়ুয়া, ছড়ার পাড়, বারহাত কালিরপাঠ, টিকটিকিরহাট, বস্তিখাটামারিসহ কয়েকটি গ্রামের পানি এখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রত্নাই নদীতে গিয়ে পানি মিলিত হয়।
ভুক্তভোগী জমির উদ্দিন মোল্লা বলেন, পানির জলাবদ্ধতার কারনে কয়েক বছর ইরি-বোরো এবং আমন মৌসুমে কেউ ফসল উৎপাদন করতে পারতো না। তাই তিনি নিজ উদ্যোগে ২০১৫ সালে কালভার্ট তৈরী করেন। ২০১৭ সালের বন্যার পানিতে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও কোন সুফল পাইনি। পরে জমির উদ্দিন মোল্লা নিরুপায় হয়ে নিজ উদ্যোগে আবার নতুন করে একটি কালভার্ট তৈরী করেন। যা সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির ভারী বর্ষনে অধিক পানি প্রবাহের ফলে আবার ভেঙ্গে যায়।
উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুল ইসলাম ও সাহেব আলী মোল্লা বলেন, কয়েক গ্রামের পানি এইখান দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি প্রবাহের পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায় ইরি-বোরো ও আমন দুই মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে আমাদের ফসল প্রতি বছরই নষ্ট হয়।
ভুক্তভোগীরা হলেন- সাইদুল ইসলাম, নিপিন, ডিজেন, মঙ্গল, সুনিল, সুজিত, জগদীশ চন্দ্র রায় কানু, বিমল চন্দ্র, ওমর আলী, বাদল, ইজ্জত মোল্লা, নায়ব আলীসহ আরও অনেকে।