শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্টেে অভিযানে ১০হাজার টাকা জরিমানা! পাটগ্রামে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে পরিচিত ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আদিতমারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং কর্তৃক জোরপূর্বক স্বাক্ষর; হামলার স্বীকার প্রধান শিক্ষিকা লিপিকা চৌধুরী! লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ (ধরলা) সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজস্থ এর কমিটির অনুমোদন নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি, ফার্মেসী মালিকসহ দুইজনের জেল জরিমানা লালমনিরহাটের লতাবর একরামিয়া রহমানিয়া আলিম মাদরাসার বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে! লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এঁর আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠিত
গ্রামীণ খেলাধূলা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

গ্রামীণ খেলাধূলা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

আলোর মনি রিপোর্ট: কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক কিছুই। তেমনই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলাও। অনুরূপভাবেই লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা আজ বিলুপ্তির পথে।

 

এখানকার অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল হা-ডু-ডু, ফুটবল, হেন্ডবল, কানামাছি, দাড়িয়াবান্দা, লুডু, কাবাডি ইত্যাদি খেলা কালের বিবর্তণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

অথচ মাত্র ১০বছর হতে ১৫বছর আগেও প্রতিটি গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ মাঠ এমনকি ধান কাটার পর খালি মাঠে এবং বাড়ীর পাশের খালি জায়গায় পর্যন্ত চলতো বিশেষ করে হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার তীব্র প্রতিযোগিতা। এসব খেলায় স্বর্ণ-রোপ্য দিয়ে তৈরি কাপ এমনকি ছাগল (খাসি), গরু, রঙিন টেলিভিশন পর্যন্ত উপহার দেয়া হতো। কতোই না মজা হতো যখন এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার উৎসুক জনতা এ সব প্রতিযোগিতা দেখে কতই না আনন্দ উপভোগ করতেন। শুধু যে গ্রামে তা কিন্তু নয়, শহরের ছোট ছোট ছেলেরাও হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। এ সব খেলায় দূর-দূরান্ত থেকে ভালো ভালো খেলোয়ারকে আনা হতো পক্ষে খেলে দেয়ার জন্য যাকে স্থানীয় ভাষায় “হায়ার” বলা হয়। যাদেরকে খেলার জন্য হায়ারে আনা হতো তাদের খাওয়ানো হতো জামাই আদরে এবং দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন। অনুরূপ খেলা ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু। বর্তমান এই যুগে যার স্থান দখল করে নিয়েছে বলতে গেলে ক্রিকেট খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মনে হবে রূপকথার গল্পের মতো। সে সময়তো স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে এসে নিয়মিত বিকালে বাড়ীর পার্শ্বে মাঠে, বাড়ীর উঠানে এ সব খেলা খেলতো। আজ আর সেই দিন নেই! নেই আগের সে সব গ্রামীণ খেলাধূলা। তবে এখন ও কিছু কিছু হা-ডু-ডু, ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে।

 

এ ব্যাপারে এক সময়ের হা-ডু-ডু খেলোয়াড় পঞ্চাশর্ধ্ব নায়েব আলী বলেন, আগের দিনে আমরা মৌসুমে প্রায় দিনই এ খেলা খেলতাম। আমি ভাড়ায়ও দূর-দূরান্ত গ্রামে খেলতে যেতাম। যেসব এলাকায় এ খেলার অনুষ্ঠান হতো সেই সব এলাকায় ঈদের মতো আমেজ বইতো। এখন আর আগের মতো হা-ডু-ডু খেলা দেখা যায় না। তাই তো হারিয়ে যাওয়া খেলাটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের চর বড় বসুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিলুপ্তি প্রায় হা-ডু-ডু খেলা। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলকে ২০হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ১০হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়।

 

আয়োজক বড়বাসুরিয়া যুব উন্নয়ন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্যরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কোনো খেলাধুলা নেই, তাই তো এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone