আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাকালে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘক্ষণ শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জনসমাগম করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ নামক একটি সংগঠন। এ ঘটনায় লালমনিরহাট জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
আজ বৃহস্পতিবার ১৮ জুন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের মিশন মোড়ে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে প্রায় ২শতজন শ্রমিক ও কর্মচারী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এতে দেশীয় ব্রান্ডের তামাকজাত পণ্যের উপর কর বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় শ্রমিক ও কর্মচারীরা জনসমাগম করে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন।
জানা গেছে, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কোম্পানিগুলোর সাথে সম্পৃক্ত লাখো শ্রমিকের অস্তিত্ব রক্ষা এবং এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ নামক একটি সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার ১৮ জুন সকালে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় চত্ত্বরে করোনায় জনসমাগম করে সবাই এসে দাঁড় হয়। একে একে শ্রমিক ও কর্মচারীদের দাঁড় করিয়ে দেন শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি সবুজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মিজান, সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান। পরে জনসমাগম করে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হলে সেখানে শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ অস্বস্তি বোধ করেন।
এ সময় কয়েকজন শ্রমিক ও কর্মচারীরা সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার নির্দেশনা দিয়েছেন বাড়িতে থাকার। কিন্তু মানবন্ধনের জন্য আমাদের বাজারে আসতে হয়েছে। মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করে অস্বস্তির মধ্যে পড়েছি। কিন্তু আমাদের কোন উপায় নেই। তাই কারোনাকালে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি সবুজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মিজান, সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমানের ডাকে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হয়। এই করোনার মধ্যে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে খারাপ লেগেছে।
এদিকে কারোনাকালে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট-বিড়ি কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ নামক সংগঠনের এমন কান্ডজ্ঞানহীন উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।