শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ছাইত্তান ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত লালমনিরহাট লালমনিরহাটে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শ্রমিক লীগ নেতা বুলেট হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩জনের যাবজ্জীবন লালমনিরহাটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক কালবেলা’র দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত লালমনিরহাটে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি পাটগ্রামে ইউপি সদস্যদের অপসারণ না করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্তি না করার জন্য স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হেলাল হোসেন কবির এর কবিতা “বিনা পাস” লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট এসোসিয়েশনের কমিটি গঠণ অনুষ্ঠিত আদালতে রায়ের তারিখ দিয়ে তার আগে রায় দিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা খাতুন
ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষক

ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষক

আলোর মনি রিপোর্ট: চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের এ সময়ে ধান পরিচর্যা করছেন লালমনিরহাট জেলার কৃষক ও শ্রমিকরা। রোপা-আমন শেষে ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

 

কৃষি নির্ভর লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে।

 

গত রোপা-আমন মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় অনেক কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ধান ও খড় তেমন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ধানের দাম ভালো। এতে লোকসান কাটিয়ে কোনো রকমে উৎপাদন খরচ জুটছে কৃষকের কপালে।

 

এমনটি বলছিলেন কোদালখাতা গ্রামের কৃষক কমল কান্তি বর্মন। রোপা-আমন কর্তন শেষে ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশে বিস্তীর্ণ ইরি-বোরো ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।

 

ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী ভাষায় এ লালমনিরহাট জেলায় ইরি-বোরো’র বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান চাষ করা হয়। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হয়েছে, কেবল ওই জমিতে হাইব্রীড ধান রোপণ হবে। ধান গাছের চেহারায় তিনি মুগ্ধ। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত রয়েছেন আর সব কৃষকের মতো তিনিও।

 

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

 

ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইরি-বোরো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষক গোলায় উঠাবেন সোনার ফসল এমন প্রত্যাশায় আশাবাদি তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone