আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপি’র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক এলাকার মেডিকেল মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ রায়, বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রশিদুল ইসলাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম।
জানা যায়, শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনা অনুযায়ী হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। এই সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে একই দিনে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার মাস উপলক্ষে সকাল ১০টায় মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ। এ সময় স্থানীয় ডাক বাংলো মাঠে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এতে হাতীবান্ধা উপজেলা শহর জুড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। পরে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের ২জন নেতা গুরুত্বর আহত হয়।
অপরদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসনে সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে আমরা একটি মিছিল বের করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতে আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৩জন নেতাকর্মী আহত হয়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।