শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন
কৃষকরা গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে

কৃষকরা গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে

Exif_JPEG_420

আলোর মনি রিপোর্ট: উৎপাদন খরচ না ওঠায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষকেরা। গত কয়েক বছর যাবৎ সরকারের কাছে গম বিক্রি করতে না পারাসহ ক্রমাগত লোকসানের পরে এখন অন্য ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন তারা।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও বাজারে দাম না পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে গম উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে। তবে এ অবস্থা কাটাতে উন্নত জাতের গম আবাদের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

লালমনিরহাটে কৃষিজাত ফসলের অন্যতম আবাদ ছিল গম। এক সময় ব্যাপক হারে গম উৎপাদন হতো লালমনিরহাট জেলায়।

 

শীত দীর্ঘমেয়াদি থাকাসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ লালমনিরহাট জেলায় গমেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু সরকারের ঘোষিত ন্যায্য দরে সংগ্রহ অভিযানে গম দিতে না পারা, বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়েছে চাষিদের। তাই এ জেলায় গমের আবাদও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

 

কৃষকদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচ না ওঠায় গমের আবাদ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন তারা। তাই এখন বিকল্প ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন তারা।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গমের ফলন কমছে। তারপর গম বিক্রি করে দাম কম পাই। খরচও ওঠে না।

ওই উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, সরকারের গম সংগ্রহে কৃষকরা গম দিতে পারে না। সরকার গমের উচ্চ দাম ঘোষণা করলেও এর সুফল পায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। তাই গম চাষে আগ্রহ তেমন নাই।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা জানান, ১হাজার ২০জন কৃষককে গম চাষের জন্য ২০হাজার ৪শত কেজি বীজ, ১০হাজার ২শত কেজি ডিএপি সার ও ১০হাজার ২শত কেজি এমওপি সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা না করলে আগামীতে এ জেলায় গম আবাদে ভাটা পড়বে। ফলে গম উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone