হেলাল হোসেন কবির: আবারও কি মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে? প্রিয়জনের চোখের সামনে পড়ে থাকবে লাশ। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েশন সংক্রমণ রোধে লালমনিরহাট জেলাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় রেড জোন ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ জেলার মধ্যে লালমনিরহাট নাম রয়েছে।
সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধিমানতে জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগকে পত্র দিয়ে সর্তক করা হয়েছে। সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও লালমনিরহাটে এখনও বন্ধ হয়নি পুনাক শিল্প পণ্য মেলা।
জেলা পুলিশ প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে (পুলিশ নারী কল্যাণ সংস্থা)র পুনাক শিল্প পণ্য মেলার মাস ব্যাপী জমকালো আয়োজন করেছে। মেলায় জনসমাগম বাড়াতে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত সার্কাস, মৃত্যুকূপসহ নানা ধরনের খেলা। পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে চলবে এ মেলা।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণরোধে লোক দেখাতে শহরের মিশন মোড়ে ঘটা করে মাক্স বিতরণ করতে দেখা গেছে পুলিশের। বিষয়টিকে জেলার সচেতন সাধারণ জনগণ পুলিশের করোনা নিয়ে তামাশা হিসেবে দেখছে। দিন দিন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে গাণিতিক হারে বেড়েই চলছে। ইতিমধ্যে সরকার স্কুল, কলেজ ও বন্ধ ঘোষণ্ করেছে। এছাড়া নানা ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, বিবাহসহ জনসমাগম হতে পারে এমন অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এদিকে পুনাকের মেলার পাশাপাশি সকল বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পারমিশন দিচ্ছে লালমনিরহাট প্রশাসন সেই সাথে চলছে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুরেও চলছে সার্কাস ও নৃত্য।
এ বিষয়ে কোন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলতে চায়নি।
সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, লালমনিরহাট সীমান্ত জেলা। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে লালমনিরহাটকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারি নিদের্শনা কঠোরভাবে পালনে স্বাস্থ্য বিভাগ অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতা চাইবে।
‘৫২ এর ভাষা সৈনিক ও সামাজিক সংগঠন অতিক্রম এর উপদেষ্টা জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা জীবন তো সংগ্রাম করে গেলাম কতদিন বাঁচি আল্লাহ ভালো জানে, দেখি কেউ এর প্রতিবাদ না করলে একাই হলেও রাস্তা নেমে যাবো জেলার মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য।