আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নে মহান স্বাধীনতার ৫০বছর কেটে গেলেও কেউ কথা রাখেনি! রত্নাই নদীর উপর একটি পাকা সেতুর অভাবে দুইপাড়ের ৩হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। একটি বাঁশের টারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরকুলাঘাট-মিদুয়ারকুটি-কালিরপাঠ গ্রামে রত্নাই নদীর উপর ৩হাজার মানুষ অস্থায়ী বাঁশের টার দিয়ে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে।
এদিকে রত্নাই নদীর বাঁশের টারের উত্তর পার্শ্বে চরকুলাঘাট গ্রাম ও চরকুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় এবং পূর্ব পার্শ্বে চরকুলাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকুলাঘাট দাখিল মাদরাসা অবস্থিত। অপরদিকে রত্নাই নদীর বাঁশের টারের দক্ষিণ পার্শ্বে মিদুয়ারকুটি ও কালিরপাঠ গ্রাম অবস্থিত।
এ এলাকাগুলো কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। পাকা ব্রীজ না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বদা। বাঁশের টারের উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে ৩হাজার মানুষ। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
এলাকাবাসী বলেন, চরকুলাঘাটে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। এখানে একটি পাকা সেতু হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরকুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বিদ্যালয়ে যেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। এখানে সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে।
উল্লেখ্য যে, ভোগান্তী লাঘবের জন্য এই চরকুলাঘাট ও মিদুয়ারকুটি এবং কালিরপাঠ এলাকার মাঝখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।