আলোর মনি রিপোর্ট: মাঝারি আকারে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের একটি ফুট ব্রীজ। এ ফুট ব্রীজ নির্মাণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেও তা এখনও ভোগান্তিতে রূপান্তরিত হয়ে আছে। নেই কোন যোগাযোগের রাস্তা। সেই থেকে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে একটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের খুনিয়ার ছড়া বার হাত কালীর পাঠ-মেদুয়ারকুটির চিত্র এটি।
স্থানীয়দের দাবী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুরের অর্থায়নে রংপুর অঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের আওতায় এ ব্রীজ নির্মাণের পর স্থানীয় লোকজন রাস্তা না থাকায় ব্যবহার করতে পারছে না। রাস্তা নির্মাণের জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুর থেকে পরিদর্শন করা হলেও ২বছরেও জনভোগান্তি দূর হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুরের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ছড়ারপাড়ে ১৮কোটি ১৪লক্ষ ২৮হাজার ৫শত ৭০টাকা ব্যয়ে মাঝারি আকারে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার (ফুট ব্রীজ) নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করে বিএডিসি। ২০২০ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কুলাঘাট খালের উপর মাঝারী আকারের হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার (ফুটব্রীজ) নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলেন লালমনিরহাটের মেসার্স মুক্তি এন্টারপ্রাইজ। বিএডিসির লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পরবর্তী সময়ে সড়ক নির্মাণে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেই থেকে যোগাযোগ বিড়ম্বনায় ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
ফুট ব্রীজটির দক্ষিণ পার্শ্বে খুনিয়ার ছড়া বার হাত কালির পাঠ। যেখানে ১হাজার ৫শত বাড়ি রয়েছে। ব্রীজটির উত্তর পার্শ্বে মেদুয়ারকুটি ১হাজার বাড়ি রয়েছে। ঐ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, সরকার আমাদের যাতায়াত করার জন্য হাজার হাজার টাকা ব্যয়ে বিএডিসির যে ব্রীজটি তৈরী করছেন তার সুফল জনগন পাচ্ছেনা। ব্রীজটি যথাস্থানে নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে এখনও রাস্তা করা হয়নি।
মোঃ সোলায়মান আলী সবুজ বলেন, আমাদের এলাকায় তিনটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি ব্রীজের উপর দিয়ে কোনমতে পারাপার হওয়া যায়। অবশিষ্ট দুটির মধ্যে ছড়ারপার ঈদগাহ মাঠের একটু পশ্চিম পাশের ব্রীজ দিয়ে একজন মানুষও চলাচল করতে পারেনা। কারণ ব্রীজের সামনে বড় আকারে গর্ত করে বাঁশ দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে।