আলোর মনি রিপোর্ট: শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় লালমনিরহাটে জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মশুর দৌলজোর এলাকার মৃত সুবাস চন্দ্রের ছোট ছেলে শ্রী বিমল চন্দ্রের স্ত্রী শ্রীমতি সম্পা রাণী (২১) নামে এক নারী একসাথে তিন সন্তান প্রসব করেন বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সম্পা রাণীর প্রসব ব্যাথা শুরু হলে তাকে লালমনিরহাট জেলা শহরের ইউনাইটেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে প্রথম একটি সন্তান এবং কিছু সময় পর আরো দুটি সন্তান হয়। তিনটি সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান ছেলে এবং পরের দুইজন মেয়ে। প্রসবের পর সম্পা রাণী ও সন্তান তিনজন সুস্থ্য আছে। সৃষ্টিকর্তা সম্পা রাণীকে প্রথম বারেই তিন সন্তান দিয়েছেন বলে জানান তারা।
এদিকে একসাথে তিনটি সন্তান প্রসবের ফলে হতদরিদ্র সম্পা রাণীর পরিবার বিপাকের মধ্যে পড়েছেন। কম ওজনের এবং আকারে খুব ছোট এই সন্তানগুলি কিভাবে রক্ষা করবে সে নিয়ে পরিবারটি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে একসাথে তিন সন্তান প্রসবের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্লিনিকের অন্য ওয়ার্ড এবং আশপাশের উৎসুক মানুষ সন্তানগুলিকে একনজর দেখার জন্য প্রসুতি বিভাগে ভির করতে দেখা গেছে।
ইউনাইটেট ক্লিনিকের পরিচালক মোকছেদুল ইসলাম বলেন, দক্ষ ডাক্তারের মাধ্যমে এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে অপারেশন সুসম্পন্ন হয়। সন্তানগুলি কম ওজন এবং আকারে খুব ছোট হলেও অনেক সুন্দর এবং ফুটফুটে। তাদের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। কিন্তু সম্পা রাণীর পরিবারের যে করুণ অবস্থা তারা কিভাবে সন্তানগুলো লালন-পালন করবে বলা মুশকিল। সন্তানগুলো সুস্থ্য রাখতে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই পরিবারটিকে সহযোগিতা করবেন বলে উল্লেখ করেন।
ওই নারীর স্বামী বিমল চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভূমিহীন বাবার দিনমজুর সন্তান আমরা পাঁচ ভাই তার মধ্যে আমি সবার ছোট। অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাই। কাজ করতে পারলে পেটে ভাত জোটে। আর কাজ না থাকলে না খেয়ে দিন কেটে যায় তাদের। জমিজমা বলতে কিছুই নেই। শুধু পৈতৃকভাবে পাওয়া ৮শতক জমি যেখানে পাঁচ ভাইয়ের বাস। কিভাবে কি করবো বুঝতেছিনা। আমার স্ত্রী ও নবজাতক তিন সন্তানের খাবার, ঔষধ এবং ভাল চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন যা সংগ্রহ করা আমার কাছে খুবই কঠিন। আমার এই দুঃসময়ে কোন মহান ব্যক্তি যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো, ভগবানের কাছে আর্শীবাদ করবো।
সহযোগিতা করতে চাইলে নিচে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিমলের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ০১৭০০৫৩৯৩০৯
সহযোগিতা করতে, ০১৭৫০৯০০০৯৬ (বিকাশ পার্সোনাল)।