আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়ীভাঙ্গায় অবস্থিত একরামুল হকের কমলা ও মাল্টা বাগান পরিদর্শনে গিয়ে ঘুরে দেখলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়ীভাঙ্গা এলাকায় কমলা ও মাল্টা এবং পেয়ারা চাষ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ও ৫নং হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার রানা প্রমুখ।
মোঃ একরামুল হকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৬একর জমিতে লাগানো কমলা ও মাল্টা এবং পেয়ারা গাছের বাগানটি লালমনিরহাট জেলার উল্লেখযোগ্য একটি কমলা ও মাল্টা এবং পেয়ারা বাগান। এ বাগানে সবুজ রঙের বারি জাতের মাল্টার গাছ আছে ২হাজার ৮শতটি, দার্জিলিংয়ের কমলার গাছ আছে ৪শতটি, চাইনিজ জাতের কমলার গাছ আছে ২শতটি এবং বর্ষাকালীন থাই সেভেন ও বর্ষাকালীন থাই ফাইভ জাতের পেয়ারা গাছ আছে ২হাজারটি। এ বছর প্রায় প্রতিটি গাছে কমলা ও মাল্টা ফল ধরেছে। বাগান থেকে লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা কমলা ও মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বাগানের কমলা ও মাল্টা আকারে এবং স্বাদে উন্নত হওয়ায় জেলাব্যাপী ব্যাপক চাহিদা বলে জানা গেছে।
মাল্টা বাগান পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান বলেন, কমলা ও মাল্টা এবং পেয়ারা চাষ করা খুব ভালো উদ্যোগ। জেলায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একরামুল হককে অনুসরন করে কমলা ও মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একরামুল সফলভাবে সুস্বাদু মিষ্টি ও রসালো কমলা ও মাল্টা চাষ করে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। সবার দৃষ্টি এখন কমলা ও মাল্টা বাগানের দিকে।
উল্লেখ্য যে, একরামুল হক ৬একরের বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়ির ৪০শতাংশ জমিতে মাল্টার বাগান করেছে। রংপুর ও মিটাপুকুরেও জমি লিজ নিয়ে বাগান ও নার্সারি করেছে।