আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী-সন্তানকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আহাম্মদ শরীফ (৪৬) নামে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান কন্যা রোকেয়া খাতুন মায়া এবং তার মায়ার ছেলে মোজাহিদ (১৮)। বর্তমানে তারা হাতীবন্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১১ জুন রাতে এ ঘটনায় আহত রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত আহাম্মদ শরীফ উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত নছের উদ্দিনের ছেলে ও জামায়াত নেতা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। সে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন।
জানা গেছে, প্রায় ২৩বছর আগে রোকেয়া খাতুনের সাথে আহাম্মদের শরীফের বিয়ে হয়। দীর্ঘ এই সংসার জীবনে মাঝে তাদের সংসারে ২কন্যা ও ১পুত্র রয়েছে। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার বন্দর বাজারে আহাম্মদের মদিনা ট্রেডার্স নামে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের জন্য টাকার প্রয়োজন হলে স্ত্রী রোকেয়াকে ৫লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দেন আহাম্মদ। কিন্ত রোকেয়া খাতুন বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে নেমে আসে নির্যাতনের খড়ক। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাকার জন্য বেধড়ক মারধর করে শরীফ। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
আজ শুক্রবার ১২ জুন দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায়। নির্যাতনের শিকার মা-পুত্র হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই বেডে শুয়ে আছে। মারধরের ফলে সারা শরীরে ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
রোকেয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, টাকার জন্য আমাকে মারধর করা হয়। এ সময় আমার পুত্র-কন্যা বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত আহাম্মদ শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে নানা ভাবে অত্যাচার করে। তাই আমি তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়েছি। তাকে কোন মারধর করা হয়নি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।