আলোর মনি রিপোর্ট: মানব জীবনে শঙ্কা-উৎকণ্ঠা থাকলেও প্রকৃতি চলছে তার আপন মহিমায় নানা রঙ ও রূপে। ফুলে-মুকুলে সেজেছে তার চির-চেনা সাজে। করোনার মধ্যে লালমনিরহাট শহরে উঁকি মারছে বর্ষায় নানা রঙের ফুল।
লালমনিরহাট শহরের ডিভাইডারে, পয়েন্টে যেখানে চোখ যাবে দেখা মিলবে উজাড় হয়ে ফুটেছে ফুল। এ যেন ফুলে ফুলে সাজানো, ফুলেল শহর লালমনিরহাট।
নানারকম দেশী-বিদেশী, মৌসুমী-স্থায়ী ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ শোভা পাচ্ছে লালমনিরহাট শহরময়।
লালমনিরহাট শহরটিকে দেখলে যে কেউ বলবে রূপকথায় গাঁথা। পুরো লালমনিরহাট শহরটি যেন গুচ্ছ গুচ্ছ বাগান। লালমনিরহাট শহরের বিভিন্ন জায়গাতেই চোখে পড়বে সারা বছর ফুটে থাকা নানান রঙের বাহারি সব ফুল। লালমনিরহাট শহরের রঙিন ও নান্দনিক ফুলের বাগান সহজেই যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। ফুলেল শহর গড়ার মূল কারিগর লালমনিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু। তিনি প্রথম ফুলের চারা লাগিয়ে এর যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে লালমনিরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম স্বপনের উদ্যোগে বৃহৎ পরিসরে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বলেন, আমাদের শহরটি বাংলাদেশের সুন্দরতম শহরগুলির একটি। লালমনিরহাট শহরকে ফুলেল করে তোলার একটা চেষ্টা বেশ ক’বছর থেকেই চলছে, আমাদের তরুণ উদ্যমী মেয়র ইতিমধ্যেই দেশী-বিদেশী অনেক ফুলের গাছ লাগিয়েছেন।
ফুলপ্রেমি রমজান আলী বলেন, যখন শহরের মাঝ দিয়ে যাচ্ছিলাম বিভিন্ন সড়কে নানা জায়গায় রঙ বেরঙের ফুল মুগ্ধতা সৃষ্টি করে। করোনার এই বদ্ধ সময়ে ফুলে ফুলে সেজে থাকা ফুলেল একটা শহর অন্য রকম এক অনুভুতির সৃষ্টি করে। এ নান্দনিক উদ্যোগকে আরও পরিকল্পিতভাবে প্রসারিত করার দাবী জানাই পৌর মেয়রের কাছে।
লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন বলেন, এই নান্দনিক ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন লালমনিরহাট পৌরসভার নাগরিক ও পথচারীরা। আমরা নানা ধরনের ফুল গাছ লাগিয়েছি। এখন সে গাছগুলো ফুলে ফুলে রঙিন।
তিনি আরও বলেন, অনেক চারা লাগানোর কথা ছিলো, করোনার কারনে চারা আনা যাচ্ছে না। শীঘ্রই ব্যাপক হারে শহরের আরও বিভিন্ন জায়গায় ফুলসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছ লাগানো হবে। এছাড়াও ফলদ ও ওষুধি গাছ লাগানো হবে। এই কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।