আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারি মানবিক সহায়তা কর্মসূচির তালিকায় লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার ৯ জুন দুপুরে তদন্ত কাজে সহায়তা করতে বাদিকে লিখিত ভাবে অবগত করতে চিঠি পাঠায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ৪ জুন দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামন রোধে কর্মহীন দুঃস্থ্য মানুষদের সহায়তা করতে সরকার মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করে। এ কর্মসূচির সুবিধা ভোগীদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি তালিকা প্রণয়ন করেন। এ তালিকা প্রণয়নে প্রকৃত দুঃস্থ্য ও কর্মহীনদের বাদ দিয়ে রেশন কার্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি, নিজের স্বচ্ছলকর্মী ও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করেন লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ। ফলে প্রকৃত দুঃস্থ্য ও কর্মহীনরা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে বৃহস্পতিবার ৪ জুন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দালালটারী এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। আগামী বৃহস্পতিবার ১১ জুন তদন্তের দিন ধার্য করে তদন্ত কাজে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে বাদিকে মঙ্গলবার ৯ জুন চিঠি পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি বলেন, কাউন্সিলরের নিজস্ব কর্মী বাহিনী, স্বচ্ছল ব্যক্তি ছাড়া সরকারি কোন সুযোগ পান না এ এলাকার মানুষ। তাকে যারা ভোট দেয়নি তাদেরকে কখনই কোন সুবিধা দেওয়া হয় না। করোনা দূর্যোগে মানবিক সহায়তা কার্ডেও একাধিক সরকারি সুবিধাভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুবিধা ভোগকারী কলেজ শিক্ষকের পরিবারের নামও রয়েছে মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায়। নাগরিক হিসেবে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা প্রশাসন তদন্তের দিন ধার্য করে চিঠি পাঠিয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।