আলোর মনি রিপোর্ট: আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে না সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটে। বিষয়টি জানার পর অনেকেই হয়তো স্বস্তি পাবেন। ভাববেন আমার ছেলেটা এবার তাহলে শোধরাবে। আমার ভাইটি তাহলে ফেনসিডিলের মত এই মরন নেশা ছেরে ঘরে ফিরে মায়ের কোল জোড়াবে। বাবার বাধ্য সন্তান হয়ে ব্যবসা সামলাবে। কিন্তু তা আর হয় কিভাবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় আর সীমান্তে কড়াকড়ি নজরদারীর কারণে ফেনসিডিল এখন দুষ্প্রাপ্য হলেও, নতুন মাদক “এস কাফ” দখলে নিয়ে নিচ্ছে ফেনসিডিলের জায়গা। আর এই মাদক ইতিমধ্যে ভারত সীমান্ত পার হয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। “এস কাফ” নামের নতুন এই মাদক বাংলাদেশে আনছে যারা তারাই ইতিপূর্বে ফেনসিডিলের কারবার করতো।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার দূর্গাপুর, মোগলহাট সীমান্ত রুট ও কুলাঘাট-বড়বাড়ী রুট দিয়ে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিলের জায়গায় এখন “এস কাফ” নামের মাদক পাচার হয়ে আসে। পাচার হওয়া এসব মাদকদ্রব্য তুলে দেয়া হয় খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতাদের হাতে। আর তা স্থানীয় ফেনসিডিল সেবীদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে বাহিরে। ফেনসিডিল দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় নতুন এই মাদক সেবন করে বুদ হয়ে থাকছে যুবকেরা।
ফেনসিডিলের মতো দেখতে আর কোডিট ফসফেট মেশানো এ মাদক সেবনকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, “এস কাফ” নামের নতুন মাদক সেবন করলে, অনুভূতি অনেকটা ফেনসিডিল সেবনের মতো হলেও, অনেক সময় পেটে ব্যথা অনুভব হয়, মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা করে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ফুটকুনি ওঠে আর তা অনেক চুলকায়। মুখ শুকিয়ে আসে।
এদিকে অনেক মাদকসেবীর অভিভাবক বলছে, কোনও ভাবেই কি মুক্তি মিলবেনা সন্তানদের। দেশে একের পর এক আসছে নতুন নতুন মাদকের ফর্মূলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, শহরের বটতলা এলাকার এক মাদকসেবীর বাবা ও এক কলেজ শিক্ষক বলেন, রক্ষা করুন আমাদের দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। সে সাথে বর্ডার জুড়ে মাদক চোরাকারবারি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
নতুন এই মাদক সম্পর্কে লালমনিরহাট মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খাইরুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, এটি যদি ভারত থেকে এসে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পাড়বো সেটি মাদক কি না। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।