শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন
লালমনিরহাটের কাকিনায় প্রতিদিনই বসছে মাছের পোনার হাট

লালমনিরহাটের কাকিনায় প্রতিদিনই বসছে মাছের পোনার হাট

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা গ্রামে প্রতিদিনই বসছে মাছের পোনার হাট। স্থানীয় খামারে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত পোনা বিক্রি হয় এই হাটে।

 

প্রতিদিন বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৫০লাখ টাকা। যা এলাকায় বেকারত্ব ঘোচানোর পাশাপাশি, আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে পরিবারগুলোর মাঝে।

 

লালমনিরহাট জেলার বেশির ভাগ মৎস্য চাষী এক সময় মাছের পোনা সংগ্রহে চরম বিড়ম্বনায় পড়তো। কিন্তু, এখন লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা গ্রামেই দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় মাছের পোনার হাট হওয়ায় এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

 

লালমনিরহাট জেলার ৬শত ৪৮টি মৎস্য নার্সারি পুকুর (খামার) এ চাষ করা হচ্ছে রুই, কাতলা, সিলভার কাপ, তেলাপিয়া, মৃগেল, কই ও পুটিসহ ১১টি প্রজাতির পোনা মাছ। আর উৎপাদিত এসব পোনা  বিক্রয় হচ্ছে কাকিনা হাটে।

 

দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী ও মৎস্য চাষীরা কম দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব পোনা। প্রতিদিন এই হাটে ৫০লাখ টাকার পোনা বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

পোনা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের মধ্যে এমন পোনার হাট আর কোথাও নেই। সব ধরনের মাছের পোনা এই হাটে সস্তায় পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন তারা।

 

বর্তমানে এই পোনা হাটে ৫হাজারেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় খুশি পোনা উৎপাদনকারীরাও।

 

মাছ চাষীরা জানান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় মাছ চাষে, ঝুঁকছেন তারা।

 

লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, হাটটিতে প্রতি অর্থ বছরে প্রায় ৩কোটি ৭৬লক্ষ ৫২হাজার টাকার পোনা মাছ বিক্রয় হয়।

 

লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় মৎস্য চাষির সংখ্যা ১৩হাজার ৫শত ৭৭জন, মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৭হাজার ৩শত ১৬জন, মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা সরকারি ১টি, বেসরকারি ৯টি, মৎস্য নার্সারি পুকুরের সংখ্যা ৬শত ৪৮টি, মৎস্য বাজারের সংখ্যা ১শত ২৪টি, বরফকলের সংখ্যা ৬টি, মৎস্য আড়তের সংখ্যা ১০টি, মৎস্য পোনা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৬শত ১২টি।

 

লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, পুকুরের সংখ্যা সরকারি ৯৬টি, বেসরকারি ২০হাজার ৬শত ৯৬টি, বিলের সংখ্যা ৫৫টি, প্লাবনভূমির সংখ্যা ৯৮টি, খালেরর সংখ্যা ২৬টি, নদীর সংখ্যা ৮টি, ধান ক্ষেতের সংখ্যা ৩হাজার ৬শত ১০টি, বরোপিটর সংখ্যা ৮৮টি, পেন ও অন্যান্যর সংখ্যা ১০টি।

 

এদিকে লালমনিরহাট জেলার বাৎসরিক মাছের চাহিদা ২৮৫৮৪.৯৩মেট্টিক টন, উৎপাদন ১৮৪৬০.০০মেট্টিক টন, ঘাটতি ১০১২৪.৯৩মেট্টিক টন।

 

লালমনিরহাট জেলার বাৎসরিক রেণুর চাহিদা ৬৬৮২.৫কেজি, রেণুর উৎপাদন ৫হাজার ২শত ৬০কেজি, ঘাটতি ১হাজার ৪শত ২২কেজি।

 

লালমনিরহাট জেলার বাৎসরিক পোনার (৪-৬ইঞ্চি) চাহিদা ১৬৩০.০০মেট্টিক টন, উৎপাদন ১৫১৩.১৩মেট্টিক টন, ঘাটতি ১১৬.৮৭মেট্টিক টন।

 

লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম জানান, পোনার গুণগত মান রক্ষায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলে উক্ত হাটের পোনা ক্রয় করে মৎস্য চাষীরা লাভবান হবে।

 

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা পেলে পোনা মাছের এ হাট এই অঞ্চলের বেকারত্ব দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone