শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
তিস্তা ও ধরলা নদীর পাড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে

তিস্তা ও ধরলা নদীর পাড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার প্রধান ২টি নদী তিস্তা ও ধরলা খুবই খরস্রোতা নদী। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গণ। প্রতিনিয়তই তিস্তা ও ধরলা পাড়ে নদী ভাঙ্গণে বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। ধরলা নদীর ভাঙ্গণে বাংলাদেশের ভূ-খন্ড কমে যাচ্ছে। চর জাগছে ভারতে।

 

জানা গেছে, ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি মাঝে মধ্যেই বেড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০টি চরের কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়ে। তিস্তা ও ধরলা নদী ২টি খুবই খরস্রোতা। দেখা দিয়েছে স্রোত। এই স্রোতের কারণে তিস্তা ও ধরলা পাড়ে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গণ। নদী ভাঙ্গণে পরিবারের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে পথে বসে। নিঃস্ব পরিবারগুলো আশ্রয়ের আশায় কেউ কেউ অন্যত্র নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাছে চলে যায়। কেউ কেউ উচুঁ বাঁধের রাস্তায় ও সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে আশ্রয় নিয়ে থাকে।

 

তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, বারোঘরিয়া, সর্দ্দার পাড়া র্স্পার। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ডাউয়ামারী, গড্ডিমারী, হলদিবাড়ি, পাটিকাপাড়া, পারুলিয়া।

ধরলা নদীর ডান তীরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কর্ণপুর, ৬মাথা, খারুয়া, শকুনের ঘাট, দূর্গাপুর, চর ফলিমারী, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী এলাকায় নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।

 

মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর, চরফলিমারী, খারুয়ায়, চওড়াটারী, কুরুল, চর খারুয়া ধরলা নদীর স্রোতের টানে নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। এখানে ধরলা নদী ভারত হতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কয়েক বছর আগেও এই নদী ভারতের ভূ-খন্ডের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুলাঘাটে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে ছিল। কিন্তু এখন নদী ভারত হতে সরে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ধরলা নদীর ভাঙ্গণে ধরলা নদীতে থাকা ভারতীয় রেল সেতুটি এখন নদীর মাঝখানে পড়ে গেছে। দুই ধার দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে ভাঙ্গছে। বিশাল বিশাল গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। চর ফলিমারী ধরলা নদীর মাঝখানে পড়ে গেছে। চারি দিক দিয়ে ধরলা নদী প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে একটি দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। খারুয়া ও কর্ণপুরে ধরলা ভাঙ্গণে বাংলাদেশের মোগলহাট ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভূ-খন্ড কমে আসছে। ভারতে জাগছে বিশাল বিশাল চর।

 

এদিকে চর গোকুন্ডা এলাকার অভিযোগ শুষ্ক মৌসুমে একটি প্রভাবশালী চক্র তিস্তা নদীর ধারে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ছিল। ফলে বর্ষা মৌসুমে ওই সব স্থানে তিস্তা নদীতে ভাঙ্গণ দেখা দেয়।

 

এলাকাবাসী ভাঙ্গণ প্রতিরোধে তিস্তা নদীর বাম তীর ও ধরলা নদীর ডান তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone