শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
গাছে গাছে থোকায় থোকায় দুলছে রসালো আম

গাছে গাছে থোকায় থোকায় দুলছে রসালো আম

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে গাছে গাছে থোকায় থোকায় দুলছে রসালো আম। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার আমবাগানগুলোতে বিভিন্ন জাতের আম বড় হয়ে পাকতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশী জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

 

তবে ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ, মালদাই জাতের আম অন্তত দুই সপ্তাহ পর বাজারে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ লালমনিরহাটের আম পরিপক্বতা পেতে দেরি হয় অন্য স্থানের চেয়ে। সর্বোপরি আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শেষে বাজারে উঠতে শুরু করবে পাকা আম। আর আমকে ঘিরে ইতিমধ্যে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এ লালমনিরহাট জেলার মানুষ অন্যান্য অর্থকরী ফসলের মতো আম চাষ করছেন। গত বছরের চেয়ে এবার লালমনিরহাট জেলায় আমের গাছে গাছে ব্যাপক আম ধরেছে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার প্রায়ই সব আমগাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ আম ধরেছে। গত কয়েক দিন আগে কয়েক দফা বৃষ্টির সুবাদে আমের আকার অনেকাংশে বড় হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন বাজারে গাছ পাকা আম আসতে শুরু করবে। আর আগাম জাতের পাকা আমের মিষ্টি সুগন্ধে ভরে উঠবে আমবাজারগুলো। তাই দাম বেশি ও ফলন ভালো পেতে এ সময় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আমের ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বালাইনাশক ঔষুধ ব্যবহার করছেন। এ বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশাবাদী আম চাষি ও বিক্রেতারা।

 

ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী বলেন, দেরিতে আমের গুটি আসলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে। বর্তমানে আম নষ্টকারী ক্ষুদি ও হপার পোকা দমনে আম গাছগুলোতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক দিচ্ছেন আম চাষিরা।

 

কোদালখাতা গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, এবার বেশির ভাগ গাছে আম এসেছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়ের ব্যবধানে আমের আকার অনেকটা বড় হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে আগাম জাতের পোক্ত গুটি আম বাজারে নামবে এবং সেটি হবে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone