আলোর মনি রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলাতে নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার (৭৮) শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয়। গত ১৮ এপ্রিল মৃত্যু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি। এরপর ওই দিনেই দুপুর দেড়টায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া একই দিনে আদিতমারী উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট শনাক্ত হয়েছে।
করোনায় মৃত নয়া মিয়াসহ লালমনিরহাট জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১১জনের মৃত্যু হলো করোনা ভাইরাসে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মৃত নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায়।
মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার শরীর থেকে গত ১৮ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠায় জেলার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৯ এপ্রিল লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস রাতে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে নিশ্চিত করে।
নয়া মিয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার আদিতমারী স্টেশন রোডস্থ গ্রামীণ ব্যাংক মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল রবিবার দুপুরে তিনি মারা যান।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ৫হাজার ৬শত ৬১জন ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৫হাজার ৬শত ৪৬জনের রিপোর্টে ১হাজার ২৭জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট শনাক্ত হলেও ৯শত ৭৬জন সুস্থ্য হয়ে নিজ বাড়ী ফিরেছেন। অবশিষ্ট ৫১জনের মধ্যে ৩৪জন নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে, ৪জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২জন চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ১১জনের মৃত্যু ঘটেছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ৯ জুন করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ চলাকালীন সময়ে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কেরামত আলী নামে এক ব্যক্তি প্রথম মৃত্যু হয়।