শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আবারও বিদ্যালয় ও কলজে মাঠে হাট বসানোর পায়তারা; ব্যাহত শিক্ষার পরিবেশ! লালমনিরহাটে সেবা পেতে হয়রানি বা দুর্নীতির শিকার হলে গণশুনানিতে আপনার অভিযোগ তুলে ধরুন! লালমনিরহাটে ১৬ বছর সংসার করেও প্রেমের টানে ঘর ছুট স্ত্রী! লালমনিরহাটে গণশুনানি উপলক্ষে অভিযোগ গ্রহণ বুথের কার্যক্রম চালু লালমনিরহাটে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ১৫জন পুলিশ সদস্য আহত, গ্রেফতার ১ লালমনিরহাটে অ্যাম্বাসেডর ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকদের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতির পাড়ে মেলা অনুষ্ঠিত মোস্তফি থেকে লালমনিরহাট সদর এ প্রবেশের একমাত্র সড়ক পথটির নাজুক অবস্থা পরিচ্ছন্ন পরিবেশ শিক্ষার্থীর শিখন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে
ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে হাতজাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে

ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে হাতজাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: কীটনাশক ছাড়া ধান উৎপাদনে হাতজাল (পার্চিং) পদ্ধতি ব্যবহার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা। এবার ইরি-বোরো মৌসুমে তাঁরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলতা পাচ্ছেন।

 

হাতজাল পদ্ধতিটি হচ্ছে মূলত চিকন রড অথবা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তোলাকৃতির হাতলওয়ালা বেড় তৈরি করে তাতে জাল লাগিয়ে ফসলের খেতে ডানে-বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পোকা ধরার একটি স্থানীয় পদ্ধতি। এই হাতজাল দিয়ে খেত পোকামুক্ত করার পদ্ধতিকে সুইপিং বলে।

 

ইরি-বোরো খেতে ডাল পুঁতে এতে হাতজাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীটনাশক ছাড়াই ফসল উৎপাদনে তাঁরা সফলতা পেয়েছেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ধানের আবাদ করার সময় কৃষকেরা সাধারণত গড়ে তিনবার খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। মাজরা, পাতামোড়ানো, বাদামি গাছফড়িং ও গান্ধি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকেরা এই বালাইনাশক ব্যবহার করেন।

 

জানা যায়, বীজতলা থেকে ধানের জমিতে চারা রোপণের ১০দিন পর প্রতি ১০০বর্গমিটারে একটি করে গাছের ডালপালা পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এরপর হাতজাল দিয়ে পার্চিং করে ক্ষতিকর এসব পোকা নিধন ও উপকারী পোকা সৃজনের ব্যবস্থা করা হয়।

 

আরও জানা যায়, চারা রোপণের ১৪দিন পর থেকে ধানের শিষ বের হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার হাতজাল দিয়ে সুইপিং করে ক্ষতিকর ও উপকারী পোকার তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর জাল দিয়ে সুইপিং করে সেসব পোকা ধরে ক্ষতিকর পোকা মেরে ফেলা এবং উপকারী পোকা খেতে পুনরায় ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এতে ধানের খেতে উপকারী পোকামাকড়ের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন হয়।

 

হাতজাল দিয়ে সুইপিং করে ক্ষতিকর মাজরা পোকা, পাতামাছি, পামরি পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি পোকা, লেদা পোকা, ঘাস ফড়িং, লম্বাশুঁড় উরচুঙ্গা, সবুজ পাতা ফড়িং, বাদামি গাছফড়িং, সাদাপীঠ গাছফড়িং, গান্ধি পোকা ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে উপকারী পোকামাকড় যেমন লেডি বার্ড বিটল, স্ট্যাফিলিনিড বিটল, ক্যারাবিড বিটল, মাকড়সা, ড্রাগন ফ্লাই, ডেমসেল ফ্লাই ইত্যাদি উপকারী পোকাও ধরা পড়ে। ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা বাছাই করে উপকারী পোকাদের খেতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ক্ষতিকর পোকা মেরে ফেলা হয়। ধানের ক্ষতিকর পোকা দেখতে সাদা ও বাদামি রঙের হয়ে থাকে। অন্যদিকে উপকারী পোকা দেখতে রঙিন হয়। ধানের উপকারী পোকা মূলত ক্ষতিকর পোকার বাচ্চা ও ডিম খেয়ে থাকে বাঁচে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone