আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ মন্ডলেরহাটের খালিসা এলাকার শাহাজালাল আলী (৫৫) এর ছেলে রাসেল মিয়া (২৯) এর লিঙ্গ কর্তন করেছে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (২১)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকি গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম (৫৫) এর মেয়ে খাদিজা বেগমের সাথে রাসেলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আহত রাসেল মিয়া পেশায় একজন স্থানীয় ডিশ ও ইউনিকেয়ার কোম্পানীর ডিলার ব্যাবসায়ী। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায় সময় ঝগরা বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন রাসেল মিয়া কর্মস্থল থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে রাত আনুমানিক ১টার সময় বাড়ী ফিরিয়া তার স্ত্রীসহ পূর্ব ভিটার পশ্চিম দুয়ারী সেমি পাকা নিজ ঘরে ঘুমান। ঐ দিন আনুমানিক ভোর ৫টা ৩০মিনিটে, বাদী শাহজালালের চতুর্থ পুত্র প্রসাব করার জন্য বাহির হলে দেখতে পান যে, রাসেল মিয়ার ঘর থেকে কিছু লোক ধারালো অস্ত্র হাতে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের দেখার জন্য একটু এগিয়ে গেলে সেখানে থাকা মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেল ওঠার সময় কয়েকজনকে চিনতে পারেন এবং অপরিচিত ২-৩জনকে চিনতে পারেননি। আমার চতুর্থ ছেলের ডাকে চিৎকারে উঠে এসে আমার ছেলেসহ রাসেলের ঘরের কাছে যাই, দেখি ঘরের দরজা লাগানো, ভিতর থেকে গৌঙ্গারানি শব্দ শোনা যায়, তাঁর ছেলের বউ দরজা না খোলায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখে রাসেল মিয়া রক্তাক্ত হয়ে আহত অবস্থায় পরে আছে। খাদিজাকে জিজ্ঞেস করলে রাগান্বিত হয়ে দা দিয়ে কোপানোর জন্য এগিয়ে আসে। খুব কষ্ট করে তাকে থামানো হয়। আহত রাসেল মিয়ার বাবা শাহাজালাল লালমনিরহাট সদর থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৯। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলেন- মোছাঃ খাদিজা বেগম (২১), এনামুল (২৮), ইব্রাহিম (), এরশাদ (৩৫) সকলের পিতা মোঃ নুর ইসলাম গ্রাম- সাতপাটকি, থানা ও জেলা লালমনিরহাট। লিটন মিয়া (৩৫), রিপন (৩২), উভয়ের পিতা মৃত্য সোবাহান আলী। গ্রাম সাতপাটকি, থানা ও জেলা লালমনিরহাট। এজাহারে বর্ণিত ৭জনের নাম থাকলেও অজ্ঞাত ২-৩জনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও রাসেল মিয়ার ঘরে রাখা ২,৩৩৮০০ (দুই লক্ষ তেত্রিশ হাজার আট শত টাকা) ও ১০০সিসি ডিসকভার মোটর সাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহতের বাবা শাহজালাল বলেন, আমার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই অমানবিক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ শাস্তি দেওয়া হয় যাতে সমাজ ও দেশের মানুষের মঙ্গল হয়।
তিনি আরও বলেন, এই মামলার আসামীদের যদি অতিসত্তর গ্রেফতার না করা হয় তাহলে মানববন্ধনসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী খাদিজা বেগম (২১)কে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা পালাতক রয়েছে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।