মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:
সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম লালমনিরহাট জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস। যেখানে অডিটর, কর্মকর্তা-কর্মচারী আর পিয়নের সবাইকে পকেটে পকেটে কম আর বেশি ঘুষ দিতে হয়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের এই স্বর্গরাজ্যের রাজনৈতিক চাপেও পাস হয় অবৈধ বিল। পাহাড়সম অভিযোগের শেষ নেই ঘুষখেকো লালমনিরহাট জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস কার্যালয়ের বিরুদ্ধে। যেন দেখার কেউ নেই?
অভিযোগ রয়েছে, অডিটররা ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্য করছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপের কারণে অবৈধ বিল পাস করা হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস কার্যালয়ে যেসব ক্ষেত্রে ঘুষ দিতে হয় সেগুলো হলো- কোনো বিল, প্রকল্প ও ঠিকাদারি কাজের বিল, বিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বিল দিতে দেরি হবে, অন্য কাজে ব্যস্ত আছি, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজ সরবরাহ করা হয়নি, কাটাকাটি হয়েছে, লেখা স্পষ্ট নয়, সই নাই, দাঁড়ি, কমা, ফুলস্টপ, সেমিকোলন দেওয়া হয়নি, কর্তৃপক্ষের সই নাই, তারিখ ঠিক নাই, বিভিন্ন নিয়ম-কানুন দেখিয়ে বিল ফেলে রাখা বা আপত্তি তুলে বিল ফিরিয়ে দেওয়া, সব আপত্তি এক সঙ্গে না দিয়ে বার বার হয়রানি, সার্ভিস রেকডে সমস্যা রয়েছে- এমন অসংখ্য অজুহাত দেখিয়ে অডিটররা ঘুষ-বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। আর অপরদিকে এই জুন মাসে শুরু হয়েছে লালমনিরহাটের সকল প্রতিষ্ঠানের জুন ক্লোজিং। সেই চাপ পড়েছে লালমনিরহাট জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে। যেন ঘুষ দাও, বিল নাও অবস্থা। এ থেকে পরিত্রাণ চায় লালমনিরহাটবাসী।